নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী করা ধর্ষণ মামলার দুই আসামি ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও সংগঠনটির ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল হুদাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিবির লালবাগ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার হাসান আরাফাত।
তিনি বলেন, ঢাবি শিক্ষার্থীর করা ধর্ষণ মামলায় আসামি নাজমুল হুদা ও সাইফুল ইসলামকে গতকাল রাজধানী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিছু সময়ের মধ্যে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।
এর আগে গতকাল নাজমুল হুদা ও সাইফুল ইসলামসহ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রিক কমিটির আহ্বায়ক সোহরাব হোসেনকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
গতকাল বোরবার (১১ অক্টোবর) এক ভিডিও বার্তায় নূর অভিযোগ করেন, মগবাজার থেকে নাজমুলকে, চাংখারপুল থেকে সাইফুলকে এবং প্রেস ক্লাব থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক সোহরাব হোসেনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ডাকসুর সাবেক ভিপি এই ভিপি বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ছাত্রলীগের যে কর্মী আমাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিল সেই মামলার আসামি হিসেবে নাজমুল এবং সাইফুলকে পুলিশ গ্রেফতার করতেই পারে। কিন্তু সোহরাব হোসেনের সঙ্গে এ মামলার কোনও সম্পর্ক নেই। তাকে কেন তুলে নিয়ে যাওয়া হলো?
গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে রাজধানীর লালবাগ থানায় ঢাবির এক ছাত্রী মামলা করেন। এতে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। নাজমুল হুদা এ মামলার ৫ নম্বর আসামি। তিনি ওই সংগঠনের ঢাবি শাখার সহসভাপতি। পরে ওই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় আরও একটি মামলা করেন ওই ছাত্রী।