গত ৫ এপ্রিল হেফাজতের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজত নেতা মুহাম্মদ মামুনুল হকসহ শীর্ষ ২৪ নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ।
হেফাজতে ইসলামের অর্থ জোগানদাতাদের খুঁজছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
সম্প্রতি ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে সংগঠনটির আরও ৪৬ নেতাকর্মীর ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে আর্থিক এ গোয়েন্দা সংস্থাটি। হেফাজত নেতাদের অর্থের উৎস কী, তা জানার জন্যই এসব হিসাব তলব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএফআইউর কর্মকর্তারা।
এতে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের নামে খোলা হিসাবের যাবতীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রাদিসহ হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, টিপি, শুরু হতে লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চাওয়া হয়েছে।
গত ৫ এপ্রিল হেফাজতের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, সাবেক মহাসচিব প্রয়াত নূর হুসাইন কাসেমী এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজত নেতা মুহাম্মদ মামুনুল হকসহ শীর্ষ ২৪ নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করে তারা। একইসঙ্গে ৩০টি মাদ্রাসার ব্যাংক হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন করে আরও ৪৬ জন হেফাজত নেতার ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে সংস্থাটি।
ওই ৪৬ জন হলেন—হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, সাবেক প্রচার সম্পাদক গাজী ইয়াকুব উসমানী (কসবা), সাবেক সহকারী আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব আহমেদ, ঢাকা মহানগরীর দায়িত্বশীলদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা মহানগরী হেফাজতের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাবেক অর্থ সম্পাদক মাওলানা মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, সদস্য মাওলানা নূর হোসাইন নূরানী, এ তালিকায় আরও আছেন মাওলানা এরশাদ উল্লাহ কাসেমী, হাফেজ মাওলানা জুনায়েদ কাসেমী, মাওলানা মুহাম্মদ মহসিন মিয়া, মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী, জাকারিয়া নোমান কাসেমী, মাহমুদুল হাসান গুনবী, আলী হাসান উসামা, নাসির উদ্দিন মনির, আহসান উল্লাহ মাস্টার প্রমুখ।