লালমনিরহাট জেলার আদিতমারি থানাধীন ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব ভেলাবাড়ী গ্রামের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেড়ে তৌহিদুল ইসলামের চতলে থাকা শামসুলের ঘরে অগ্নি সংযোগ করা সহ তার গাছপালা কর্তন করেছে প্রতিবেশি খলিলুর রহমান গং। এ ঘটনায় বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের হলে মামলাটি আদিতমারি থানায় নথিভুক্ত হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে আসামীরা প্রকাশ্যে থাকলেও পুলিশ এ বিষয়ে কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহন না করায় ওই এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
আদালতের মামলা সূত্রে জানাগেছে গত ১ জুন ২০২১ ইং তারিখে সকাল আটটা ত্রিশ মিনিটে প্রতিবেশী খলিলুর রহমান(৩৫),বাদশা মিয়া সারোয়ার @ খদিম সহ ১০ জনের নাম উল্ল্যেখ করে মামলাটি দায়ের করেন বাদী তৌহিদুল ইসলাম।
আদালতে মামলাটি ১৪৩/১৪৮/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩০৭/৪২৭/
মামলায় উল্ল্যেখ রয়েছে দেশীয় অস্ত্র,বাশের লাঠি সহ লোহার রড নিয়ে দলবলে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ সহ ঘরের টাটি ভাংচুর করা সহ বেদম মারটি করে। এসময় বাদীর সোকেচের ড্রয়ার ভাংগিয়া তামাক বিক্রির ১লাখ ১০ হাজার টাকা নিয়ে নেয় হামলাকারীরা।
আদিতমারি থানা পুলিশ উক্ত মামলাটি নথিভুক্ত করলেও কোন রুপ তদন্ত না করায় বাদী পক্ষ নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন । ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন জানান, মামলায় ২ নং অভিযুক্ত আসামী বাদশা মিয়া একতা সমাজ কল্যাণ সংস্থা চালান সেই সুবাদে স্থানীয় থানা পুলিশের সাথে সখ্যতা থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ওই থানা পুলিশ আইনত ব্যাবস্থা গ্রহনে অনিহা দেখান।বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি ৩ জুন দায়ের হয়। এবিষয়ে আদিতমারি থানা পুলিশের ওসি তদন্ত মন্ডলের সাথে কথা বললে জানান,তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
মামলার অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ভেলাবাড়ী বাজার সহ সর্বত বিচরন করায় বাদী ও স্বাক্ষী পক্ষ প্রাণভয়ে থাকার কথা বলেন। উক্তবিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহল ও একাধিক মানবাধিকার কর্মীরা জানান,আদিতমারি থানা পুলিশের ভুমিকায় দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন ।
স্থানীয়রা আরও জানান,মামলার ২ নং আসামী বাদশা মিয়া একতা সমাজ কল্যাণ সংস্থায় চাকুরী দেয়ার কথা বলে অসংখ্য মানুষের নিকট মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তাহলে কি ন্যায় বিচার পাবেনা ভুক্তভোগি তৌহিদুল পরিবার ?