গাইবান্ধার কোমরপুরে অবৈধভাবে জোর পূর্বক জমি জমা জবর দখলকে কেন্দ্র করে খালেক ও তার সহযোগীদের নিয়ে
জমির মালিক মজিবুর রহমানকে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তা চেয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন মজিবুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ আঞ্জুয়ারা রোজী।
গাইবান্ধা সদর থানার এজাহার সূত্রে জানা গেছে- বাদী মোছাঃ আঞ্জুয়ারা রোজীর স্বামী মজিবুর রহমান গাইবান্ধার কোমরপুরে পৈত্রিক ও ক্রয় সূত্রে কিছু সম্পত্তি আছে। মজিবুর রহমান শহরের খানকাহ শরীফ থাকেন। ২০০৮ সালে সরকারি চাকুরী থেকে অবসরে যাওয়ার পর কোমরপুরের আতাউর রহমানের পুত্র বিবাদী মোঃ খালেক সহ তার গ্যাং বিভিন্ন বাদীদের বিভিন্ন সম্পত্তির ফসলআদি সহ বিভিন্ন সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ দখলের চেষ্টা করে আসছে এবং বাদীর স্বামী মজিবুর রহমান কোমরপুর মৌজায় জমির খোজ খবর নিতে গেলে বিভিন্ন সময় তাকে মারপিট সহ ক্ষতি করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি সালের গত ২রা জুন বাদী তার স্বামী সহ কোমরপুরে বিক্রিত জমির টাকা নিতে গেলে আজিজার রহমানের পুত্র জমির ক্রেতা মোঃ মাসুদ রানা, তার চাচার স্ত্রী সহ বাদীর পূর্ব দুয়ারি শোয়ার ঘরে এসে চার লক্ষ ১০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়। এবং মজিবুর রহমান নামাজের প্রস্তুতি নেয় ঠিক সময় বিবাদীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় মারাত্মক অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দলবদ্ধ হয়ে বাসার মেইন ভেঙে বাসার ভিতর প্রবেশ করে ঘরের দরজা ভেঙে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরী জীবি মজিবুর রহমানকে ধারাালো অস্ত্র দিয়ে মারতে থাকে। সে সময় এজাহারের ৩নং বিবাদী আতাউর রহমান এর নির্দেশে মোঃ খালেক হাতে থাকা কুড়াল দিয়ে মজিবুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে স্বজোরে মাথায় মারলে তা ডান চোখের সামনের অংশে লেগে গভীর জখম হয়৷ এ সময় বাদী মোছাঃ আঞ্জুয়ারা রোজী মজিবুর রহমানকে বাচাতে গেলে এজাহারের ৪নং বিবাদী ফাতেমা ১লক্ষ ৫ হাজার টাকা মূল্যের দেড় ভড়ি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং আনারুল বিছানার উপজমি বিক্রির টাকা ৪লক্ষ ১০ হাজার টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। ৫ নং বিবাদী মোছাঃ আনোয়ারা বেগম মারপিট চলাকালীন ঘরের ভিতর প্রবেশ করে ট্রাংকে থাকা দলিলাদি সহ অন্যান্য কাগজপত্র নেয়। আঞ্জুয়ারা’র চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিভিন্নরকম হুমকি প্রদর্শন করে চলে যায়। স্বাক্ষীদের সহযোগীতায় মুজিবুর রহমানকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে তাকে দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রের্ফাড করেন। বর্তমানে তিনি রংপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
এ বিষয়ে উক্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুজিবুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ আঞ্জুয়ারা রোজী বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।