দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলার জামাই হয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। এ খবরে আনন্দে ভাসছে বিরামপুরবাসী। চলছে জামাই বরণের তোড়জোড়। উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বরণ করা হবে রেলপথমন্ত্রীকে।
শুক্রবার বিরামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত আলী টুটুল ও অ্যাডভোকেট শাম্মী আকতার মনির বড় ভাই মো. জাহিদুল ইসলাম মিলন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিরামপুর উপজেলার নতুন বাজার এলাকার আব্দুর রহিমের মেয়ে অ্যাডভোকেট শাম্মী আকতার মনিকে বিয়ে করেছেন মন্ত্রী সুজন। ৫ জুন শনিবার রাজধানীর হেয়ার রোডের মন্ত্রীর সরকারি বাসভবন তন্ময়-এ তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
শাম্মীর বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, আমার বোন ঢাকার উত্তরায় থাকে। সে আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করছে। আইন পেশার পাশাপাশি রাজধানীত ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতাও করে শাম্মী। আইনি বিষয়ে পরমার্শ নিতে কিছুদিন আগে রেলমন্ত্রীর কাছে যায় আমার বোন। ওই সময় তাকে পছন্দ করেন মন্ত্রী। পারিবারিকভাবে আমার বোনকে বিয়ের প্রস্তব দেন তিনি। পরে উভয় পক্ষের সম্মতিতে পারিবারিকভাবে ৫ জুন তাদের বিয়ে হয়। বিয়েতে বরপক্ষে ছিলেন বিরামপুরের বিচারপতি ইজারুল হক ও তার স্ত্রী। কনে পক্ষে আমি ও আমার ভাই ছিলাম।
বিরামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র লিয়াকত আলী টুটুল জানান, বিয়ের আলোচনা ঢাকা থেকেই শুরু হয়। পরে তিনি ঘটকের দায়িত্ব পালন করেন।
প্রসঙ্গত, ৬৫ বছর বয়সী নূরুল ইসলাম সুজন ১৯৫৬ সালের ৫ জানুয়ারি পঞ্চগড়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রথম স্ত্রী নিলুফার জাহান ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মারা যান। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তিন সন্তানেরই বিয়ে হয়েছে।
নূরুল ইসলাম সুজন পঞ্চগড়-২ আসন থেকে নবম, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচলে বিজয়ী হন। ২০১৮ সালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। নূরুল ইসলাম সুজন পেশায় সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলারও একজন আইনজীবী ছিলেন।