করোনাভাইরাসে দেশে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫৪ জনের মৃত্যু । এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ১৭২ জনের।
সোমবার (১৪ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৬৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৯ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫১২টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩২টি, জিন এক্সপার্ট ৪৬টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৩৪টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২১ হাজার ৯১৪টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২০ হাজার ৬০২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬১ লাখ ৯৫ হাজার ৭১৪টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৩ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৫০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ জন, খুলনা বিভাগে সাতজন, রংপুর বিভাগে পাঁচজন, ময়মনসিংহ বিভাগের একজন ও বরিশাল বিভাগে একজন রয়েছেন।
এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৪০ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১০ জন ও বাড়িতে চারজন রয়েছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ২৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের নিচে পাঁচজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ১১ থেকে ২০ জনের মধ্যে একজন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১ হাজার ২৩৭ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৬২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৪৮ হাজার ২৪ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৮৩১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৫ হাজার ১৯৩ জন।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় সাত হাজার ৬২৬ জন। যা দেশে একদিনে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর গত ৬ এপ্রিল একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল সাত হাজার ২১৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।