ভারত সীমান্তবর্তী চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। সস্প্রতি এলাকার চুল ব্যবসায়ীসহ বেশকিছু বাংলাদেশী নাগরিক ভারতের কাঁটাতার পেরিয়ে অবৈধপথে দেশে প্রবেশ করায় করোনা সংক্রমন বৃদ্ধির মূল কারণ বলে ধারণা করছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।
করোনা সংক্রমন ঠেকাতে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। কোভিড-১৯ সংক্রান্তে ডাকা হয় জরুরী সভা। দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় দামুড়হুদা উপজেলায় ১৪ দিনের লকডাউন ঘোষনা করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬ টা থেকে লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনাও দেন তিনি। প্রধান অতিতির বক্তব্যে তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল আরও জোরদার করতে হবে।
এছাড়া প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের সর্তকতার সাথে ২৪ ঘন্টা নিরলসভাবে দায়িত্ব প্রতিপালন করতে হবে। লকডাউন চলাকালিন উপজেলার সমস্ত সোপিংমল, চায়ের দোকান সম্পূর্নরূপে বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র জরুরীসেবা ছাড়া সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং কৃষির সাথে স¤পর্কিত কিছু যানবাহন চলাচল করতে পারবে।এ ছাড়া স্বল্প সময়ের জন্য খোলা রাখা যাবে মুদি দোকান। তবে লকডাউনের আওতামূক্ত থাকবে ওষুধ ফার্মেসী। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরীসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম ও দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু।
উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মনজু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) সুদীপ্ত কুমার সিংহ, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. আওলিয়ার রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আব্দুর খালেক, দর্শনা থানার ওসি মাহবুবুর রহমান কাজলসহ এলাকার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ। উল্লেখ্য, দামুড়হুদা উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ২২ জন। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগির সংখ্যা ৫৩৬ জন।