ঢাকাই ছবির নায়িকা পরিমনির মামলা দায়ের। এই মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ ৫ জন গ্রেফতার। এই খবর ছিল গতকাল মঙ্গলবার “টক অব দ্যা কান্ট্রি”। বিশেষ করে ঢাকা শহরের সর্বত্র এই খবরের আলোচনা-সমালোচনায় মানুষ ছির মুখর।
প্রকাশিত সংবাদ অনুযাীয় ঘটনাটি আরো কয়েকদিন আগের। এটি সংঘটিত হয়েছে উত্তরা শেষ মাথায় পশ্চিম দিকে সাভারের বিরুলিয়া এলাকায় প্রতিষ্ঠিত অভিজাত র্বোট ক্লাবে। এই ক্লাবের বর্তমান সভাপতি আইজিপি বেনজির আহমেদ। এর আগে গ্রেফতারকৃত অর্থাৎ পরিমনির এক নম্বর আসামী ব্যবসায়ী নাসির মাহমুদও এই ক্লাবের সদস্য ছিলেন বর্তমানে কার্য-নির্বাহী কমিটির সদস্য। কয়েকদিন আগে সংঘটিত একটি ঘটনা নিয়ে হঠাৎ তোলপাড় শুরু হয়ে গেল। পরিমনির মামলা রেকর্ড করা হলো সাভার থানায়। আর রাতারাতি ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশ তৎপর হয়ে ব্যবসায়ী নাসির মাহমুদসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করল। ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশিদ এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
সমালোচকদের প্রশ্ন, গুলশানের অভিজাত এলাকার ফ্ল্যাট থেকে কলেজ ছাত্রী মুনিয়ার লাশ উদ্ধার হয়েছে ৫০ দিন অতিবাহিত হলো ওই দিনই গুলশান থানায় মামলা হলো। কিন্তু মামলাটি ত্বরিগতিতে দায়ের হলেও পুলিশ আজ পর্যন্ত অভিযুক্ত ব্যাক্তির ধারে-কাছে ঘেঁষতে পারেনি। এক যাত্রায় দুই ফল। এ কেমন বিচার। পরিমনিকে নিয়ে এতো হৈ চৈ মুনিয়ার কী কপাল পোড়া। মুনিয়ার মৃত্যু হলেও আসামী ধরা যাবে না। পরিমনির পেছনে আবার আরো শক্তিধরদের আশীর্বাদ রয়েছে। তাই পরিমনিরা বিচার পাচ্ছে। কিন্তু মুনিয়ার পেছনে কোন প্রভাবশালী নেই তাই একদিন কেন ৫০০ দিনেও মিলবেনা রিপোর্ট।