1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন

আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা: গাইবান্ধার পলাশপাড়ায় মালিকানাধীন জমি দখল করে রাস্তা তৈরীর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ২১ জুন, ২০২১
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গাইবান্ধার পলাশপাড়ায় মালিকানাধীন জমি দখল করে একটি পরিবারের জন্য রাস্তা তৈরীর অভিযোগ উঠেছে। পৌর শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের মো. রফিউল কাদের চন্দন হাজীর ক্রয় করা ৩২৪৯ দাগের জমির ৪ ফিট পানি নিস্কাশনের ড্রেন দখলে নিয়ে রাস্তাটি তৈরী করা হয়| গাইবান্ধার পৌর সভার মেয়র মতলুবর রহমানকে ম্যানেজ করে প্রতিপক্ষ আবু বক্কর সর্দার ও তার ভাই হায়দার আলীর বিরুদ্ধে এই রাস্তা তৈরীর অভিযাগ উঠেছে।
জমির মালিক রফিউল কাদের চন্দন হাজি জানান, ক্রয় সূত্রে গোবিন্দপুর মৌজার জেএল নং ৯৯ ও ৩২৪৯ নং দাগের (হাল দাগ নং ৬২৩৫, ডিবি নং ৩৮২৭) ৯ শতক জমির মালিক তিনি। একই সঙ্গে ৩২৫০ দাগের জমিসহ মোট ১৮.২৫ শতক জমির মালিকও তিনি। উক্ত ৩২৪৯ নং দাগের জমির পূর্ব পাশে উত্তর-দক্ষিণ বরাবর ৪ ফিট প্রস্ত ও ৫৫ ফিট দুরত্বের জমি পানি নিস্কাশনের জন্য ব্যবহার করে আসছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ আবু বক্কর সর্দার ও তার ভাই হায়দার আলী পানি নিস্কাশনের ড্রেনটি রাস্তা হিসেবে ব্যবহারের পায়তারা করেন। অথচ প্রতিপক্ষের পরিবারের চলাচলের জন্য উত্তর-দক্ষিণে ও পূর্ব- পশ্চিমে একটি রাস্তা রয়েছে। এ নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হলে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে পিটিশন মামলা নং ৩৭৮/২০২০ (অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, গাইবান্ধা সদর) দায়ের করেন তিনি।
রফিউল কাদের আরও জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে ১৪৪/১৪৫ ধারা নিষেধাজ্ঞা জারি করাসহ সহকারী কমশিনার (ভূমি) গাইবান্ধা সদরকে তদন্তের আদেশ দেয় আদালত। আদালতের আদেশে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেউভয় পক্ষকে বিরোধপূর্ণ জমিতে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার বিষয়টি নোটিশে অবগত করেন। এছাড়া আদালতের আদেশে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. নাহিদুর রহমান ও সার্ভেয়ার আবুল কালাম আজাদ সরেজমিন তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে উভয়ে গত ১৮ জানুয়ারী আদালতে পৃথক প্রতিবেদন দাখিল করেন।
রফিউল কাদেরের অভিযোগ, আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও প্রতিপক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক ও হায়দার আলী রাতের আধারে জায়গাটি দখলে নিয়ে রাস্তা তৈরী করেন। এ ঘটনায় পৌর মেয়র মতলুবর রহমান, ওয়ার্ড কমিশনার রোকনুজ্জামান সুমনসহ স্থানীয় লোকজনের উপস্থিততে কয়েক দফায় সালিশ বৈঠকও হয়। কিন্তু বৈঠকে একতরফাভাবে রাস্তা তৈরীর সিদ্ধান্ত হয়। এমনকি বৈঠকে অনুপস্থিতি সত্বেও রাস্তা তৈরীর জন্য তাকে পৌরসভা থেকে নোটিশ দেয়া হয়। মূলত প্রতিপক্ষ আবু বক্কর সর্দার ও হায়দার আলী পৌরসভার মেয়র মতলুবর রহমানকে ম্যানেজ করে গত ১৯ মে ইটের সিসি ঢালাই দিয়ে রাস্তার কাজ করেন। অথচ প্রতিপক্ষের পরিবার ছাড়া রাস্তাটি দিয়ে অন্য কারো চলাচলের প্রয়োজন নেই। আদালতের নিষেধাজ্ঞাসহ রাস্তা তৈরীর বিষয়টি তাৎক্ষণিক সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ তা আমলে নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বাড়িতে গিয়েও পাওয়া যায়নি অভিযুক্ত আবু বক্কর সর্দার ও তার ভাই হায়দার আলীকে। পরে আবু বক্করের মুঠফোনে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আর মুঠফোনে গাইবান্ধা পৌর মেয়র মতলুবর রহমান রাস্তাটি পৌরসভার বলে দাবি করে সাংবাদিককে জানান, নির্বাচিত হওয়ার আগ থেকেই বিষয়টি নিয়ে উভয়ের দ্বন্ধ চলছিলো। সম্প্রতি পৌরসভা থেকে রাস্তাটি পাকা করা হয়েছে। তবে ম্যানেজ কিংবা জোরপূর্বক রাস্তা তৈরীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি