আন্দোলনকারীরা সকালে জানিয়েছেন, রাতভর তাঁরা এখানে ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে রাতভর এখানে একটু পরপর প্রক্টর এসে দেখা করে গেছেন। এ ছাড়া পুলিশ সদস্য ছিলেন। তাঁরা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করেননি। তাঁরা যোগদানের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তাঁরা এখানেই রান্নাবান্না করবেন।
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর লিয়াকত আলীর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তিনি রাতে বলেছিলেন, নিয়োগপ্রাপ্তদের সঙ্গে তাঁরা গত সোমবার কথা বলেছেন। সেখানে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা দেবেন না বলে জানিয়েছিলেন। সেখানে স্থানীয় সাংসদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। সিন্ডিকেট সভা স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরও তাঁরা যোগদানের দাবিতে অবস্থান করছেন। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, এ জন্য তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকছেন।
এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করে আবদুস সোবহান উপাচার্য হিসেবে ৬ মে শেষ কর্মদিবসে ১৩৮ জনকে অ্যাডহকে (অস্থায়ী) নিয়োগ দিয়ে পুলিশি পাহারায় ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। সেদিন এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগর ছাত্রলীগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে সেদিনই বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তদন্ত করে গত ২৩ মে তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। শেষ অবৈধ নিয়োগে তদন্ত কমিটি বিদায়ী উপাচার্যসহ বেশ কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে। আবদুস সোবহানের দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে এখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয় দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এর মধ্যেই নিয়োগপ্রাপ্তরা যোগদানের জন্য ক্যাম্পাসে আন্দোলন করছেন। নিয়োগপ্রাপ্তদের দাবি, তাঁদের নিয়োগ আলোচিত হলেও অবৈধ নয়।