বিশেষ প্রতিনিধি: সরকার ঘোষিত গাজীপুরের লকডাউনের আজ ২য় দিনে চরম দূর্দশায় পরেছে সাধারণ মানুষজন। সকালে চৌরাস্তা, জয়দেবপুর, বোর্ড বাজার,নাওজোর সহ বেশ কিছু স্হানে দেখা যায় সাধারণ মানুষজন গাড়ির জন্য দাড়িয়ে আছেন। সকলের অফিস খোলা কিন্তু গাড়ি নাই। তার সাথে গত কয়েকদিন যাবত অবিরত বৃষ্টির কারনে কাঁদাময় সমস্ত রাস্তা। আর বাধ্য হয়েই সেই কাদাতেও গাড়ির জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেক মানুষকে। প্রধান সড়কে যাএী বাহী বাস চলাচল না করায় সেই সুবিধা ষোলআনা নিচ্ছেন সুবিধাভোগি সিএনজি অটোচালকরা। তারা প্রায় দুই থেকে তিনগুন ভাড়া বেশি নিচ্ছে একেক যাএী থেকে। আবার সামাজিক দূরত্বের কোন কিছুই মানছেন না। যদিও দ্বায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদসরা এই সমস্ত বিষয় জেনে দেখেও জেনো না দেখার ভান করছেন। চৌরাস্তার মতো জায়গায় যেখানে সর্বক্ষণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদসরা থাকেন সেখান থেকেই যেনো সমস্ত অন্যায় গুলো পরিচালনা হচ্ছে। জয়দেবপুর থেকে ঢাকা, চৌরাস্তা থেকে ভালুকা,ময়মনসিংহ, চৌরাস্তা থেকে কড্ডা,কোনাবাড়ী, কালিয়াকৈরে, চৌরাস্তা থেকে জয়দেবপুর, সদর হাসপাতাল, আমতলী সবখানেই পরিচালনা হচ্ছে যানবাহন। কিন্তু এখানেই যেনো সমস্ত অপরাধ চোখের সামনে থাকলেও সমাধান হচ্ছে না। যার জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষজন। চৌরাস্তা নির্মাণাধীন ব্রিজের নিচ থেকে রোবেল নামে এক সিএনজি ড্রাইভার শীববাড়ী পর্যন্ত ৫০ টাকা জনপ্রতি ভাড়া চায়। কমে যাবে না। বাধ্য হয়ে যাএীরা উঠেন কারন কাজে যেতে হবে। শীববাড়ী এসে সাংবাদিকের সাথে কথা হয় কেনো এই ভাড়া। তার যুক্তি সে রিজাবে যায় সদর হাসপাতাল পর্যন্ত। কোন যাএী নাকি বলেনি কোথায় যাবে তাই ৫০ টাকা ভাড়া। তখন যাএীদের জিগ্যেস করলে তারা বলেন কেউ কি গন্তব্য না বলে পরিবহনে উঠে? সে শীববাড়ী পর্যন্ত ৫০ টাকার কম আসবে না। পরে দ্বায়িত্বরত পুলিশ সদস্যের সহায়তায় ড্রাইভার সহ সেই গাড়ি হেফাজতে নেয়া হয়। এভাবেই লকডাউনের সুবিধা নিয়ে আদায় হচ্ছে বারতি ভাড়া। মাঝে মাঝে কিছু কিছু দূরপাল্লার গাড়ি ও আঞ্চলিক রোডের যানবাহনগুলো চলাচল করতে দেখা গেছে। লেগুনা গাড়ি চলাচল করছে। ট্রাক দিয়েও যাএী নিচ্ছে ড্রাইভাররা। সড়কে চলাচলকারী অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।