এই ন্যাক্কারজনক জঘন্য টনাটি ঘটেছে শহরের বাঙ্গালীপুর সরকারপাড়া এলাকায় ট্রাক স্টান্ড সংলগ্ন ৫ নং আটকেপড়া পাকিস্তানি (উর্দূভাষী) ক্যাম্পে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ধর্ষককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ওই ক্যাম্পের বাসিন্দা একরামুল (৬৩) এর দ্বিতীয় স্ত্রীর আগের পক্ষের মেয়ে পুতুল বেগমের বিয়ে হয়েছে নীলফামারী সদরের খোকশাবাড়ী গ্রামে। পারিবারিক সমস্যার কারনে প্রায় একমাস যাবত পুতুল তার তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে মায়ের কাছে এসে থাকছে।
পাশাপাশি এখানেই কাজ জুটিয়ে নিয়ে মেয়েকে নানা বাড়িতে রেখেই নিয়মিত কাজে যায়। আর এই সুযোগে একরামুল সৎ নাতীকে একা পেয়ে প্রায় প্রতিদিনই কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করে আসছে। বিষয়টি দুই একদিন পুতুল টেরও পেয়েছে। কিন্তু হাতেনাতে ধরতে না পারায় এ নিয়ে আর কোন টু শব্দ না করে ওৎপেতে থাকে।
অবশেষে আজ ২৩ জুন মঙ্গলবার দুপুরে কাজে যাওয়ার কথা বলে পাশেই একজনের বাসায় ঘাপটি মেরে বসে থাকে পুতুল। দুপুরের দিকে একরামুল শিশুটিকে তার রুমে ডেকে নিয়ে ঘুমের ওষুধ মিশ্রিত জুস খাওয়ায়। পরে শিশুটি অবচেতন হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণের জন্য উদ্ধত হয় একরামুল। এসময় পুতুল তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে এবং চিৎকার করে। এতে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে ঘটনা জানতে পেরে পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ এসে শিশুটি ও তার মায়ের কথা শুনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একরামুল ও পুতুলকে থানায় নিয়ে যায়।
সৈয়দপুর থানার এস আই পলাশ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত একরামুল ও শিশুটির মা পুতুলকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে একরামুল মেয়েটিকে জাপটে ধরার কথা স্বীকার করেছে। তবে ধর্ষণের অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবী করেছে।
মেয়েটির মা পুতুল জানান, থানায় পুলিশকে সব কিছু খুলে বলেছি। তারা লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন। সে অনুযায়ী মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল হাসনাত খান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে একরামুল নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।