1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৯ অপরাহ্ন

রাজধানীতে একই পরিবারের তিনজনকে হত্যা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : বুধবার, ২৩ জুন, ২০২১

ঢাকার কদমতলীতে একটি বাড়িতে এক পরিবারের তিনজনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এরইমধ্যে গ্রেফতার হয়ে রিমান্ডে রয়েছেন পরিবারের বড় মেয়ে মেহজাবিন ইসলাম মুন। মামলার অন্যতম আসামি স্বামী শফিকুল ইসলামকেও রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

রিমান্ডে এ হত্যাকাণ্ডের দায় একাই নিজের কাঁধে নিয়েছেন মেহজাবিন ইসলাম মুন। ঘটনায় তদন্তে নেমেছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা জানান, পরিবারটির সদস্যদের মধ্যে জটিলতাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। বড় মেয়ে মেহজাবিন মুনের বিয়ের আগে আমিনুল ইসলাম নামের এক যুবক মুনকে প্রাইভেট পড়াতেন। ওই সময় ছাত্রীর সঙ্গেও তার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ওই গৃহশিক্ষক সুযোগ পেয়ে ছাত্রীর মা মৌসুমীর সঙ্গেও অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। দু’জনের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্কের ভিডিও করে রেখেছিলেন আমিনুল। সেটি হয়ে ওঠে তার হাতিয়ার। ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে তিনি মা-মেয়েকে জিম্মি করে অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এমনকি তিনি মুনের ছোট বোন জান্নাতুল ইসলাম মোহিনী ও তার এক আত্মীয়ের সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে ফেলেন।

পরিবারে গৃহশিক্ষক আমিনুলের সঙ্গে মা ও দুই মেয়ের বহুমুখী জটিলতাপূর্ণ সম্পর্কের এক পর্যায়ে মেহজাবিন মুনকে শফিকুল নামের এক জনের সঙ্গে বিয়ে দেন মা মৌসুমী। এতে ক্ষিপ্ত হন গৃহশিক্ষক আমিনুল। তিনি ছাত্রী মেহজাবিনের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও তার স্বামীকে দেখান। এতে মুনের সংসারে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। পরিস্থিতিতে মা মৌসুমীও তখন আমিনুলের ওপর বিরক্ত হতে থাকেন।

ছাত্রী মেহজাবিন মুন, ছাত্রীর মা মৌসুমী ইসলাম এবং ছাত্রীর ছোট বোন জান্নাতুল ইসলাম মোহিনীর সঙ্গে আমিনুলের সম্পর্ক এবং মোবাইলে ধারণ করা গোপন ভিডিও ধ্বংস করতে ছাত্রীর নতুন বিয়ে করা স্বামী শফিকুল, ছাত্রীর মা মৌসুমী এবং ছাত্রীর খালা শিউলী আক্তার পরিকল্পনা করে গৃহশিক্ষক আমিনুলকে বাসায় ডেকে নিয়ে গত ৫ বছর আগে হত্যা করেন।

ওই ঘটনায় মেহজাবিন মুনকে আসামি করা হলেও পরে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায়নি ঢাকা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। যে কারণে শফিকুল, মৌসুমী এবং শিউলীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। যে মামলা তারা ৩ জন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে জেল খেটে জামিনে বেরিয়ে আসেন।

গত শনিবার সকালে কদমতলীর মুরাদপুর রজ্জব আলী সরদার রোডের পাঁচতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী ইসলাম (৪০) ও মেয়ে জান্নাতুল ইসলাম মোহিনীর (২০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

অচেতন অবস্থায় মেহজামিনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ও মেয়ে তৃপ্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মেহজাবিন ও তার স্বামী শফিকুলের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় মামলা হয়েছে। রবিবার মেহজাবিনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার মেহজাবিনের স্বামী শফিকুলকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দাবি করেছেন, সেই রাতের ঘটনায় তার কোনো ভূমিকা ছিল না।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি