1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জ তাহিরপুর সীমান্ত কথিত সোর্সদের নিয়ন্ত্রণে, চলছে চোরাচালানে রমরমা বাণিজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শনিবার, ২৬ জুন, ২০২১
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত এখন কথিত বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারীদের নিয়ন্ত্রণে। সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সোর্সরা প্রতি রাতেই ভারত থেকে অবৈধভাবে কয়লা পাচাঁর করছে। এসব পাচারকৃত কয়লা থেকে সোর্স পরিচয়ধারীরা নামে-বেনামে চাঁদা উত্তোলন করছে এমন অভিযোগ নিয়ে পত্রপত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, এতে বিজিবির নিয়মিত টহল ও অভিযানে প্রায় সময়েই পাচারকৃত মালামাল জব্দ করেছে ,কিন্তু অনেক সময়েই ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে এসব চোরাকারবারি ও কথিত সোর্স পরিচয়ধারীরা। যার কারণেই চোরাকারবারি ও সোর্সদের দাপট দিনদিন আরো বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যায়।
স্থানীরা জানায়, উপজেলা সীমান্তের চোরাচালানের ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত উপজেলার চারাগাঁও সীমান্ত। এই সীমান্তের বিভিন্ন স্থান দিয়ে ভারত থেকে প্রতিরাতেই লক্ষাধিক টাকার চোরাই কয়লা পাচাঁর করছে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের লাল হোসেন এর ছেলে খোকন, একই গ্রামের আলীনুর মিয়ার ছেলে হারুন, মৃত আব্দুল মুতালিব মিয়ার ছেলে শহিদুল, কালা ফকির এর ছেলে রমজান, একই এলাকার বাঁশতলা গ্রামের মৃত আব্দুল হেলিম মিয়ার ছেলে কুদ্দুস মিয়া। তারা প্রতিদিন সকালে অর্ধশতাধিক শ্রমিক দিয়ে ভারত সীমান্তের ভিতর থেকে কয়লা উত্তোলন করে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি কাটা তারের বেড়ার পাশে জঙ্গলে ভিতরে মজুত করে রাখে। এবং সন্ধ্যা হলেই কয়লা জঙ্গল থেকে বাহির করে সীমান্ত পারাপার করে, সংসার হাওরে রাখা স্টীলবডি নৌকা বুঝাই করে পাটলাই নদী দিয়ে কলমাকান্দা, নেত্রকোনা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করে। এতে চোরাচালানিদের প্রতিটন কয়লা পাচাঁর করতে, চোরাচালানের নেপথ্যের কাড়িগর কথিত সোর্স পরিচয়ধারী উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের চারাগাঁও (সংসার পাড়) গ্রামের মৃত মকবুল হোসের এর ছেলে শফিকুল ইসলাম ওরফে (ভৈরব) কে দিতে হয় দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় একাধিক লোক জানান, প্রতি রাতেই চোরাই কয়লা পাচার করা হচ্ছে। শফিকুল ইসলাম (ভৈরব) বিজিবি ও সাংবাদিককে টাকা দিতে হয় বলে তিনি টাকা নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে চোরাকারবারি গ্যাং লিডার উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের লাল হোসেন এর ছেলে খোকন মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সুযোগ বুঝে ভারত হতে কয়লা আনি এতে শফিকুল ইসলাম ভৈরব কে টাকা দেই।
কিভাবে কত করে দেন এবং তিনি কার কথা বলে টাকা নেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, তিনি অনেকের কথা বলেন আমরা এতো কিছু জানতে চাইনা।
তবে এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম ওরফে (ভৈরব)এর সাথে মোঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, একসময় আমি বিজিবি ও সাংবাদিকদের সোর্স হয়ে কাজ করতাম এখন করিনা, কিছু ছুটকা সাংবাদিক আছে তাদের টাকা দেই না এ জন্য এসব বলে, এছাড়াও তিনি আর বলেন, বর্ডার দিয়ে এখন আর আগের মতো চোরাই পথে মালামাল নামে না মাঝেমধ্যে নামলেও বিজিবির অজান্তেই নামে।
এ ব্যাপারে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের  যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কোন সোর্স নেই।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন ২৮বিজিবি অধিনায়ক তসলিম এহসান পিএসসি বলেন, সীমান্তে চোরাচালান হলে সুনির্দিষ্ট তথ্যদিন, এর সাথে জড়িতদের হাতেনাতে ধরে আইনের আওতায় আনা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি