চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ সীতাকুণ্ডের কুমিরায় এক কিলোমিটার দীঘর্ পরীর রাস্তা সড়কটি খুঁড়ে চলাচলের অনুপযোগী করে দিয়েছে শিল্প প্রতিষ্ঠানকে এসআরএম। এতে সীমাহীন দূর্ভোগে পড়েছে ওই রাস্তায় চলাচল কারী হাজারো বাসিন্দা। বাধ্য হয়ে সড়ক অবরোধ করে ২২ ও ২৩ জুন দুই দিন ব্যাপী মানববন্ধন করেছে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুধবার দুপুরে কর্দমাক্ত পরীর রাস্তার দু’ধারে মানববন্ধন করছে শতশত মানুষ। ক’মাস আগে যেটি পিছ ঢালা সড়ক ছিল। সড়কের এ বহালদশা ও মানববন্ধনের কারণ জানতে চাইলে এলাকাবাসী জানান, পশ্চিমে কর্ণফুলি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন পর্যš Íএক কিলোমিটার সড়কটির মধ্যখান দিয়ে খুঁড়ে চলাচলের অনুপযোগী করে দিয়েছে কেএসআরএম কতৃপক্ষ। ওই প্রতিষ্ঠানটি মহাসড়কের পূর্বপাশে তাদের কারখানায় গ্যাস সংযোগ নেয়ার জন্য এহাল করেছে সড়কের। এতে ছোট্ট সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এভাবেই চলতে থাকে কয়েক মাস। এদিকে বর্ষা শুরু হলে কাদা-পানি একাকার হয়ে চরম দূর্ভোগে পড়ি আমরা। এলাকার নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও রোগাক্রাš Íব্যক্তিরা অসহায় হয়ে পড়ে। এতে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে পড়লে কেএসআরএম কতৃপক্ষ রাস্তায় শিল্পবর্জ্য (রাবিশ) ঢেলে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করে। এর ফলে ঘটে আরও বড় বিপত্তি। ধারালো রাবিশ ভোগান্তির কাদামাটি চেয়েও ভয়াবহ রূপনেয়। এসব রাবিশ সূচালো ও ধারালো হওয়ায় অনেকের পা পর্যন্ত কেটে যায়। বাধ্য হয়ে আমরা মানববন্ধনের মতো কঠিন কর্মসূচীতে নামি।
স্থানীয়রা বলেন, রাস্তা খুঁড়ার আগে মেরামত করে দেয়ার আশ্বাস দেয় কেএসআরএম কতৃপক্ষ। কিন্তুু নিজেদের প্রয়োজন পুরিয়ে গেলে জনগণকে দেয়া আশ্বাসের কথাভুলে বসে কেএসআরএম।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, এসব নিয়ে সময় করে কথা বলব। এলজিআরডিকে যদি টাকা দিয়ে থাকে তাহলে রাস্তা হবে।
কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ চৌধুরীকে বেশ কয়েকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কোন সাড়া দেননি।
সীতাকুন্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, রাস্তা খুঁড়ে কেএসআরএম গ্যাসের লাইন নেয়ায় চলাচলে এলাকাবাসীর সমস্যা হচ্ছিল। গতকাল তারা বিক্ষোভ করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কেটাকা দেয়া হয়েছে। তারাই কাজ করবে। তিনি বলেন, কাজ যেহেতু কেএসআরএমের জন্য করা হয়েছে ; তাই তাদের এলজিইডির সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজটি করিয়ে নিতে তাগাদাদিতে বলেছি।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। কেএসআরএম কতৃপক্ষ এলজিআরডিকে রাস্তাটির ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। তবে কত টাকা ক্ষতি পূরণ দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে জানাতে পারেন নি তিনি।
প্রসঙ্গত, এদিকে আগে সীতাকুণ্ডের বাড়ব কুণ্ডে এলাকাবাসীর সাথে চলাচলের সড়ক বন্ধ করা নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে কেএসআরএম কতৃপক্ষ। তখন বাধ্য হয়ে মহাসড়কে মানববন্ধন ও করে স্থানীয় এলাকাবাসী। এমনকি ওইসময় এলাকাবাসী ও কেএসআরএম কতৃপক্ষ পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে।