সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কেশবপুর গ্রামের শফিক আলী ছেলে আতিকুর আহমেদ (২২) আশিক আহমেদ (২০) এবং স্ত্রী নুরফুল বিবি সৌদি আরব প্রবাসি রিজিয়া বেগমের অশ্লীল ছবি মোবাইলে ধারন করে বিগত দুই বছর ধরে বিভিন্ন ভাবে জিম্মি করে প্রায় ৫লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর থানা ও সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ভোক্তভুগির মা রুপিয়া বেগম।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় যে, আতিকুর আহমেদ পিতা শফিল আলী প্রায় চার বছর আগে সৌদি আরবে চলে যায়। এখই গ্রামে বাসিন্দা রিজিয়া বেগম ও চার বছর পূর্বে সৌদি আরবে জান এবং সেখানে রিজিয়া বেগমের সাথে আতিকুরের পরিচয় হয়।
ভোক্তভুগির মা জানান যে, আমার মেয়ে রিজিয়ার স্বামী বহুদিন পূর্বে মারা জায়। আমার মেয়ের স্বামী মারা যাওয়ার আগে চার সন্তানের জননী হয়। এক সময় আমার মেয়ের চার সন্তান কে ভরন পোষণ কষ্ট সাধ্য হয়ে যায়। আমার মেয়ে সৌদি আরবে চলে যায়। যাওয়ার পূর্বে তাহার চার সন্তান কে ফুলতলি এতিম খানায় রেখে যায়। বেশ কিছু আমার মেয়ে সঠিক মত টাকা দিতে তাকে। সেখানে আমার মেয়ের সাথে তাহার শশুর বাড়ির প্রতিবেশি আতিকুরর সাথে দেখা হয়। এবং প্রায় সময় আমার মেয়ের কর্মক্ষেত্রে আতিকুর আসা যাওয়া করতো। এক সময় আমার মেয়ে কে প্রেমের প্রাস্তাব দেয়। কিন্তু আমার মেয়ে রাজি হয় নি, সে বলে আমার চার সন্তান আছে তাদের মানুষ করা আমার দায়িত্ব। এবার আতিকুর আমার মেয়ে কে বার বার প্রাস্তাব দিতে তাকে। এক পর্যায়ে আতিকুর বলে আমি তোমার সব সন্তানের দায় ভার নেব। এসব নানা ভাবে আমার মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে এবং বিয়ে করার কথা বলে এক পর্যায়ে আমার মেয়ে তাহার মিষ্টি কথায় রাজি হয়। এবং প্রায় সময় আমার মেয়ের কর্ম ক্ষেত্রে আসতো। নানা প্রলোভন দেখিয়ে আমার মেয়ে সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। প্রায় সময় সমাজিল যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও কলে কথা বলতো। আতিকুর তা তাহার মোবাইলে রেকর্ড করে রাখতো। প্রায় এক বছর যাওয়ার পর আমার মেয়ে কাছে এসব ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা চাইতে শুরু করে। আমার মেয়ে কাউকে কিছু না বলে বিভিন্ন ভাবে প্রায় ৫লাখ টাকা তাহার মা ও ছোট ভাই আশিকের কাছে দিতে তাকে। এক সময় আমার মেয়ে টাকা দিতে দিতে নিরুপায় হয়ে পরে। পরবর্তীতে টাকা দিতে না পারায় আতিকুর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার মেয়ের অশ্রিল ভিডিও ও ছবি ছেড়ে দেয়। সে কারনে আমার মেয়ের সম্মান সমাজে হানি হয়। আমার মেয়ে প্রবাসে দুইবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। আমার মেয়ের চার সন্তান সমাজে চোখে হেন হয়েছে। আতিকুরে মা ও তাহার ছোট ভাই আশিক আহমেদ সমাজে বিভিন্ন মানুষকে তা ছড়িয়ে দিতে থাকেন। আমি এবিষয়ে জগন্নাথপুর থানায় ও সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ করেছি।
জগন্নাথপুর থানার এস আই সাফায়েত জানায়, আমি এবিষয়ে বিবাদীর বাড়িতে যেয়ে এবং বিবাদী বাড়ি থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করি। মোবাইল ফোনের বিভিন্ন ফোল্ডারে আমারা এ সব অশ্লীল ভিডিও পাই। আমরা বিবাদী আতিকুরে ভাই কে অতিসত্বর গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।