বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, স্বাধীনতার চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে অসাম্প্রদায়িক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে গনমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তথ্য প্রবাহ ও প্রযুক্তির এক সুবর্ণ সময় অতিক্রম করছে বাংলাদেশ। আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে করোনা মহামারিকালেও প্রযুক্তির সাহায্যে একে অপরের সাথে সকলে যুক্ত থাকতে পারছে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষিতে পত্রিকা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া অবাধ সংবাদ প্রচার করছে। আজকের পত্রিকার যাত্রা সাহসী একটি পদক্ষেপ। স্পীকার আজ রাজধানীতে আজকের পত্রিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন। এসময় স্পীকার পত্রিকাটির শুভ উদ্বোধন করেন। স্পীকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী জাতি উদযাপন করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নত দেশের দিকে আমাদের যে অগ্রগতি তা আজকের পত্রিকার মধ্য দিয়ে ফুটে উঠবে এবং গণমানুষের কথা তাদের মুখপাত্র হয়ে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত হবে। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিশ্বের আনাচে কানাচের বিভিন্ন খবর একত্রিত করে চলমান ঘটনাবলী উপস্থাপনের মাধ্যমে সকলকে অবগত করে গণমাধ্যম। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমের যে ব্যাপক প্রসার, তার মধ্য দিয়েও অনেক ধরণের ইস্যু চ্যালেঞ্জ হিসেবে নতুনভাবে আর্বিভূত হচ্ছে। এক্ষেত্রে, আজকের পত্রিকা বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে জনগণকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে কার্যকরভাবে সহায়তা করবে। স্পীকার বলেন, প্রতিযোগিতার এ যুগে পত্রিকাটি বাংলাদেশের যেকোন বিভাগে পাঠকের প্রত্যাশা নিয়ে তথ্য উপস্থাপন করেছে। একটি নতুন পত্রিকা উদ্বোধনের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অন্যান্য পত্রিকার পাশাপাশি জনগন আজকের পত্রিকা থেকে কি বিষয় খুঁজে বের করবে, সেই আকর্ষণ ও বৈচিত্র্য তৈরির প্রতি মনোযোগী হতে হবে। কোভিড মহামারির এই দুঃসময়ে দেশের মানুষ সহজেই যেন পত্রিকাটি পেতে পারে সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. মোঃ গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সংবাদকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।