চাল সরবরাহে ব্যর্থ চালকল মালিকদের তালিকা প্রস্তুত করতে খাদ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
একইসঙ্গে ধান মজুদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলায় বাজার মনিটরিং কমিটির করার কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
কোনো এলাকায় অবৈধ মজুদদার থাকলে তার তথ্য জেলা প্রশাসন ও খাদ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে চালকল মালিক নেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় সরকারি বাসভবন থেকে চালকল মালিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এসব কথা বলেন।
চালকল মালিকদের প্রতি মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নূন্যতম লাভে বাজারে চাল সরবরাহ করুন।’
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা বক্তব্য রাখেন।
নওগাঁ জেলার অটো চাল কল মালিক সমিতির বেলাল আহমেদ বলেন, ‘অনেক প্রতিষ্ঠান চাল প্যাকেটজাত করছেন, বাজারে সেগুলো বেশি দামে বিক্রয় হচ্ছে। আবার অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীও এখন ধান মজুদ করছে উচ্চ দামে বিক্রির আশায়। আমদানির মাধ্যমে সরবরাহ বাড়ানো হলে মজুদ করা ধান বাজারে আসতে শুরু করবে চালের দামও নেমে আসবে।’
চাপাইনবাবগঞ্জের এরফান গ্রুপের সত্ত্বাধিকারী মো. এরফান আলী বলেন, ‘ফুড গ্রেইন লাইসেন্স ছাড়া অনেকেই ধানের মজুদ করেছেন। বাজারে ধানের সংকটের কারনে মিল মালিকরা ধান কিনতে পারছেন না। ফলে চুক্তি অনুযায়ী অনেক চালকল মালিক খাদ্য গুদামে সময়মতো চাল দিতে পারছেন না।’
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংগ্রহ ও সরবরাহ) খাজা আব্দুল হান্নান সভায় উল্লেখ করেন, ৩০ জুনের মধ্যে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৭৫ শতাংশ ছিল। করোনা মহামারি ও সাম্প্রতিক অতি বৃষ্টিতে সংগ্রহ অভিযান ব্যাহত হয়েছে। ৩০ জুন পর্যন্ত সিদ্ধ চাল সংগ্রহ হয়েছে ৫৭ শতাংশ এবং আতপ চাল ৪৬ শতাংশ।