শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার নরসিংহপুর বাংলাবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান দেশিয় অস্ত্রসহ দুই কামার আটকের ঘটনায় সাবেক শিবির নেতা ও ইয়ারপুরের চিহ্নিত ভূমিদস্যু মোঃ দেলোয়ার হোসেন সরকারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা । এঘটনায় অবৈধভাবে দেশিয় অস্ত্র তৈরি মজুদের অপরাধে দুই কামারকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ ।
শনিবার রাত ১১.৩০ ঘটিকার দিকে নরসিংহপুর বাংলাবাজার এলাকার আলাউদ্দিন মার্কেটের দক্ষিণ পাশের থেকে ১০টি কাঠের বাটযুক্ত এবং ০৭টি বাটছাড়া তরবারিসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । এঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে অবৈধ দেশিয় অস্ত্র তৈরি ও নিজ দখলে রাখার অপরাধে, ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানার যাদুরচর পোল্টিমারী এলাকার মৃত আমিন হোসেনের ছেলে মোঃ রাজু কামার(২৫), একই এলাকার মৃত আমির হোসেনের ছেলে মোঃ রঞ্জু কামার(২০) , তারা দুজনেই আশুলিয়া থানাধীন ঘোষবাগ এলাকার রিপনের বাড়ির ভাড়াটিয়া। বাকি দুই আসামী হলেন- আশুলিয়া থানাধীন গোমাইল এলাকার মৃত গোলাম নবী সরকারের ছেলে মোঃ দেলোয়ার হোসেন সরকার (৫০), একই এলাকার মোঃ শরীফ সরকারের ছেলে মোঃ মেরাজ নরকার (১৮) ।
মামলা সুত্রে জানা যায় , গত ০৩/০৭/২১ ইং শনিবার রাত আনুমানিক ১১.৩০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে নরসিংহপুর বাংলাবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেশিয় অস্ত্রসহ রাজু কামার ও রঞ্জু কামার নামে দুইজনকে আটক করে , এসময় আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্বীকার করে উক্ত তরবারি ৩নং আসামী দেলোয়ার সরকার ও ৪ নং আসামী মেরাজ সরকার তাদের কাছে তৈরি করতে দিয়েছিলো ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে আশুলিয়া পুলিশের উপ-পরিদর্শক ,(এসআই) মহিদুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতরে বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে রোববার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে । এছাড়াও মামলায় জড়িত অন্যন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, সাবেক শিবির নেতা দেলোয়ার সরকার এলাকার একজন চিহ্নিত ভুমিদস্যু । তার বিরুদ্ধে একাধিক জমি দখল ও নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে । বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যই তারা বিপুল পরিমান দেশিয় অস্ত্র তৈরি করতে দিয়েছিল। ধন্যবাদ জানাই আশুলিয়া থানা পুলিশকে , কোন ধরনের নাশকাতা সৃস্টির আগেই অস্ত্রগুলো উদ্ধার করার জন্য । অতি সত্তর ভূমিদস্যু দেলোয়ারকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেওয়ার দাবী জানান এলাকাবাসী ।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও দেলোয়ার সরকারের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি ।