কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে মাওয়া ফেরিঘাট । মাওয়া শিমুলিয়া মোড়ে পুলিশ মোতায়েনসহ চেকপোস্টে কটুর তল্লাশী পুর্বক ছাড়া হয় । জেলায় লকডাউন বাস্তবায়নে তিন প্লাটুন সেনাবাহিনী ও দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ছিলো। সরকারের বিধি-নিষেধ আরোপ ও প্রশাসনের তৎপরতায় উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, শপিংমলসহ দোকানপাট খোলেনি ব্যবসায়ীরা। সরকারি ও বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের গাড়ি, পণ্যবাহী বাহন ছাড়া কিছু রিকশা-রিকশাভ্যান চলতে দেখা গেছে বিভিন্ন রাস্তায়। কিছু কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে দেখা গেলেও সংখ্যায় তা একেবারেই কম। তবে উপজেলার কাঁচা বাজার গুলিতে মানুষের জনসমাগম ভিড় আগের মতই দেখা গেছে।
এদিকে সকাল থেকে একেবারে যাত্রীশূন্য অবস্থায় দেখা গেছে মাওয়া ফেরি ঘাটে। শিমুলিয়া মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘাটে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম (মেরিন) আহমম্মদ আলী জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে বর্তমান ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। এসব ফেরিতে শুধুমাত্র পণ্যবাহী ট্রাক, জরুরি যান ও অ্যাম্বুলেন্সসহ পরিষেবার যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঘাটে তেমন যাত্রী উপস্থিতি নেই । যানবাহন ছাড়া ঘাট এলাকা একেবারে ফাঁকা।
লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসাইন জানান, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোন মানুষকে শিমুলিয়া ঘাটে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। জরুরি যানবাহন ছাড়া অন্যকোন যানবাহন চলতেও দেওয়া হচ্ছে না। চেকপোস্টের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। লকডাউনের বিধিনিষেধ কঠোরভাবে এখানে পালন করা হচ্ছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন জাতীয় অর্থনীতিকে জানান, সর্বাত্মক লকডাউনের নির্দেশনা মানার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে। শিমুলিয়ামুখী গাড়ি রোধ করা হচ্ছে। ঘাটে যানবাহন এবং যাত্রী নেই বললেই চলে তবে অ্যাম্বুলেন্সে যারা মারা যাচ্ছে তারা যাচ্ছে।