ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, ‘জরুরি লেনদেনের জন্য তিনি অবশ্যই যেতে পারবেন। তবে তিনি যেটা করেছেন এক চেকের টাকা উত্তোলনের কথা বলে তিনজনকে নিয়ে বের হয়েছিলেন, যা এই মুহূর্তে অগ্রহণযোগ্য।’সরেজমিনে দেখা যায়, অন্যদিনের তুলনায় শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল বেড়েছে। প্রতিটি রিকশাসহ অন্যসব যানবাহনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানেই অধিকাংশ মানুষই ঘর থেকে বের হওয়ার জন্য বিভিন্ন কারণ দেখিয়েছেন।
ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, ‘ভ্যাকসিন যিনি নেবেন তিনি খোঁজ খবর নিয়েই এ সময়ে উচিত ঘর থেকে বের হওয়া। কিন্তু তারা এক গাড়িতে চারজন এসেছেন তাদের দুজনের ভ্যাকসিন প্রয়োজন নেই। সেজন্য একজনকে জরিমানা করা হয়েছে।’
একরকম আরও ৭-৮ জন রিকশাযাত্রীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। যারা রিকশায় অপরিচিতদের সাথে রিকশা শেয়ারে ভাড়ায় উঠেছেন। অনেকে জরুরি সেবার নাম করে বের হয়েছেন যদিও তারা জরুরি সেবার কাগজপত্র কিংবা আইডি কার্ড দেখাতে পারেননি।
বারডেম হাসপাতালের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে র্যাব। তার সামনেই পূবালী ব্যাংকের নিচে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করতে দেখা যায় সেনাবাহিনীকে। আধা ঘণ্টা চেকপোস্ট পরিচালনা শেষে তারা চলে গেলে সেখানে আসে বিজিবি। তারাও আধা ঘণ্টা চেকপোস্ট পরিচালনা শেষে চলে যায়। এ সময় দুই বাহিনীকেই বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও গাড়ি আটকে কারণ জানকে চাওয়া হয়। যথোপযুক্ত কারণ ছাড়া বের হওয়া বেশ কয়েকজনকে জরিমানা করে ঢাকা জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট।