কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জেলায় অনলাইন পশুর হাট চালু উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, করোনা মহামারি ও লকডাউনের কথা চিন্তা করে জেলায় এ ধরনের ডিজিটাল হাট চালু করা হয়েছে। গত বছর কোরবানির ঈদেও এই অনলাইন হাটের মাধ্যমে গরু, ছাগল কেনাবেচা হয়েছে। সে সময় বেশ ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, এবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১ লাখ ১২ হাজার ৯৫৫টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। জেলার চাহিদা রয়েছে ৭৫ হাজার গবাদি পশুর।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এএইচএম শামিমুজ্জামান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এবারের কোরবানির জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১ লাখ ১২ হাজার ৯৫৫টি গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। এরমধ্যে গরু ২৯ হাজার ৭৫০টি, মহিষ ১৮৯টি, ছাগল ৮২ হাজার ২৩৬টি ও ভেড়া ৭৮০ টি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সদর উপজেলায় ২১ হাজার ৬১৩টি, আলমডাঙ্গায় ৩৮ হাজার ৭৮১টি, দামুড়হুদায় ২৬ হাজার ৪৮৫টি ও জীবনগরে ২৬ হাজার ৭৬টি পশু রয়েছে।