মদারীপুর জেলা প্রতিনিধি: মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাগলা কুকুরের উপদ্রপ বেড়েছে। গত দুইদিনে বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে দুই শিশুসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার সকালে কালকিনি হাসপাতাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। হাসপাতাল, এলাকা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রপ চরম ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ওইসব কুকুরের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে উপজেলার সাধারণ মানুষ। তবে এ বর্ষায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং লকডাউনে খাদ্য সংকটে পড়ে বেওয়ারিশ কুকুড়গুলো রাস্তার-ঘাটে, হাট-বাজারে ও বিভিন্ন বাড়ির উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
সোমবার বিকালে ওই কুকুরের কামড়ে আহত হয় গোপালপুর এলাকার পুর্ববনগ্রামের সিদ্দিক ঘড়ামীর শিশুপুত্র আলি হোসেন (৪), পৌর এলাকার দক্ষিণ রাজদী গ্রামের গৌতম পালের ছেলে নয়ন পাল (৩৫), গোপালপুর এলাকার আমিরিয়া গ্রামের মাওলা বেপারীর দুই বছর বয়সের শিশুপুত্র ওসমান গনি, পৌর এলাকার মিনাজদী গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫) ও মো. কালু হোসেন (৫২)।
এছাড়াও মঙ্গলবার সকালে উপজেলার গোপালপুর এলাকার বনগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ৯ জনকে কুকুরে কামড়ে আহত করে। আহতদেরকে কালকিনি হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে এদের মধ্যে নয়ন পালের অবস্থা বেশি আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার সন্ধ্যায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আতিকুর রহমান বলেন, যারা কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। একজনের অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় তাকে বরিশাল পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে কালকিনি পৌরসভার মেয়র এসএম হানিফ বলেন, পৌরসভা এলাকার সকল বেওয়ারিশ কুকুরগুলোকে ইতিমধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইনজেকশন পুশ করে বিষমুক্ত করেছে।