মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার অবদান হিসাবে টিআর কাবিখা কর্মসূচীর আওতায় দূযোর্গ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের অধিনে ২০১৯ -২০২০ অর্থ বছরের গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের বড় শিমুলতলা গ্রামের সুবিধাভোগী আব্দুস ছাত্তার কর্তৃক ৬০ হাজার টাকা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিন্টুকে দেওয়ার পরে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘরে ফাটল দেখা দেওয়ায় বসবাসে আতংঙ্কিত হয়ে পড়েছে সুবিধাভোগী পরিবার ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ,উপজেলার বড় শিশুলতলা গ্রামের মৃত কিতাব উদ্দিন প্রমানিকের ছেলে আব্দুস ছাত্তার প্রমানিক নামে বরাদ্দের নির্মানকৃত বাড়ীটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় আতংঙ্কিত হয়ে পড়েছে পরিবারটি তারা উক্ত ঘরে বসবাস করা বাদ দিয়ে মানববেতর জীবন যাপন করছেন। আরো দেখা যায় ঘরের ১৫ ইঞ্চি ভিক্তি থাকার কথা থাকলেও মাত্র ৫ ইঞ্চি ভিক্তি দেওয়া হয়েছে। নানা অনিয়ম করা হয়েছে উক্ত গৃহ নির্মান কাজে। সুবিধাভোগীরা তাদের প্রদানকৃত অর্থ ও বসবাসের একমাত্র ঘরটি সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী আব্দুস ছাত্তার প্রমানিক ও তার স্ত্রী জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিন্টু তাদের নিকট হতে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে ইউপি সদস্যদের দিয়ে নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে যেন তেন ভাবে এ ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে। বর্তমানে আমরা ভয়ে উক্ত ঘরে বসবাস করতে পারছিনা। পাশ্ববর্তি আরেক সুবিধা ভোগীর মেহের আলীর স্ত্রী বলেন, আদির গরু বিক্রি করে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে ঘর পেয়েছে তবে এখন পর্যন্ত কোন ফাটল দেখা না দিলেও ঘরের ভিক্তি ঠিক নাই কখন যে হেলে পড়ে এজন্য আমরা আতংঙ্কিত হয়ে পড়েছি।
স্থানীয়রা বলেন উক্ত ঘর নির্মাণকালে এ ঘরের বরাদ্দকৃত সিমেন্ট দিয়ে ইউপি সদস্য উক্ত স্থানে একটি ড্রেন নির্মাণ করেছেন। উক্ত ঘরের নি¤œ মানের কাজ করায় ঘরের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে ।সুবিধা ভোগীরা ভয়ে অন্যত্র বসবাস করছেন। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ এ প্রকল্পে এমন অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবী করেছেন।
উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, বলেন সরেজমিনে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে উক্ত গৃহ নির্মাণের কোন অনিয়ম থাকলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে উক্ত ঘর সংস্কার করে দেওয়া হবে ।
পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন বলেন, দূর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের অধিনে হলেও তদারকির বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে আমার দেখার কথা। তবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের একটি কমিটির মাধ্যমে উক্ত ঘরের কাজ গুলো সম্পন্ন হয়েছে। কোন প্রকার অনিয়ম হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে