ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
অর্থের অভাবে ছোট বেলা থেকেই কাজ শুরু করি তাই স্কুলেও যাওয়া হয়নি। নরসুন্দরের কাজ করি ৪৩ বছর হয়ে গেল। কিন্তু করোনা আর লকডাউনে আমার চলার উপায় নেই; আমি সবার সহযোগিতা চাই। ছবি তুলে কাজ নাই পারলে আমাকে একটু সাহায্য করুন (০১৭৪০০২৭২১১ বিকাশ) কথাটি বলছিলেন ঝিনাইদহের সরকারী কেসি কলেজের পিছনে সেলুন ব্যবসায়ী প্রকাশ(৬৫)। প্রকাশের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের বালিয়াডাঙ্গা হলেও প্রায় ৩০ বছর যাতাৎ তিনি ঝিনাইদহের ব্যপারীপাড়া ভাড়া বাড়িতে থাকেন। করোনা সংকটে যেসব পেশাজীবী মারাত্মকভাবে জীবন-জীবিকা নিয়ে হুমকির মুখে পড়েছেন তাদের অন্যতম হলো সেলুন ব্যবসায়ীরা। করোনা সংক্রমণ হওয়ার ভয়ে লোকজন এখন আর সহজে চুল-দাড়ি কাটতে কোনো সেলুনে যাচ্ছেন না। আর এতেই বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন সেলুনের কর্মচারীরা। কেসি কলেজ সংলগ্ন দোকানের মালিক অনিল বিশ্বাস বলেন, প্রকাশের এমন খারাপ অবস্থা হবে তা তারা জীবনেও ভাবেননি, লোকটি সাদা মনের মানুষ। তার সেলুনের অবস্থা এতোটায় খারাপ যে, মাঝে মাঝে সে রাস্তায় কাগজ কুড়িয়ে বিক্রি করে চাউল কিনে নিয়ে যায়। দেখে সত্যি মায়া লাগে; পারলে তার জন্য একটু করেন।