ফেনী (সোনাগাজী ) :
ফেনীর সোনাগাজীতে নির্মিত দেশের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পটি আবারো বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় ৬মাস উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ আছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-পিডিবিসহ সংশ্লিস্ট কারো মাথা ব্যথা নেই । জানা যায়, ২০০৪ সালে সোনাগাজী উপজেলার মুহুরী সেচ প্রকল্পের অদুরে থাক খোয়াজের লামছি মৌজায় দেশের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পটি নির্মিত হয় । যার উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা ছিল ঘন্টায় নয়শত কিলোওয়াট (০.৯ মেঘাঃ) । প্রকল্প নির্মানে খরচ হয় প্রায় ৭ কোটি টাকা। নির্মান করেন ভারতের নেবুলা টেকনো. সল্যুশন কোম্পানী। নির্মানের কয়েক মাস পরেই অচল হয়ে যায় প্রকল্পটি। গত ১/১১ এর সময় প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকেরা দীর্ঘ দিন বেতন না পাওয়ায় কিছু যন্ত্র বিক্রি করে পালিয়ে যায় । ২০১৪সালে আ’লীগ তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এই পাইলট প্রকল্পটি চালুর উদ্যোগ নেয়। ওই বছর কোটি টাকা ব্যয়ে মেরামত করে, প্যানএশিয়া পাওয়ার সার্ভিস কোম্পানীর সাথে উৎপাদনের জন্য চুক্তি করা হয়। প্রায় ৬বছর উৎপাদন কার্যক্রম চলছিল। মিটারের তথ্যমতে শুরু থেকে এ পর্যন্ত এই প্রকল্পে উৎপাদিত ৮লক্ষ ৮৮হাজার কিলোওয়াট বা ৮৮৮ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়। সরজমিনে দেখা যায়, প্রকল্পটির চারটি চাকা দীর্ঘদিন ঘোরে না। গাজী কেফায়েত উল্যাহ নামে একজন কর্মচারি বেকার সময় পার করছেন । প্রায় সাতমাস তার বেতন বন্ধ। প্যানএশিয়া পাওয়ার সার্ভিস কোম্পানীর পরিচালক ফজলুর রহমান বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ৬বছর উৎপাদন ঠিকভাবে হচ্ছিল। গতবছর নভেম্বর মাসে চুক্তি শেষ হয়। চুক্তি নবায়ন না হওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে । বার বার অবহিত করার পরও পিডিবি চুক্তি নবায়ন করতে রাজি হয়নি। এভাবে বন্ধ থাকলে নস্ট হতে পারে দেশের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের অর্ধশত কোটি টাকার সম্পদ।
এ ব্যাপারে পিডিবি. ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম বলেন, এ অঞ্চলে বাতাস কম । বাতাস ছাড়া পাখা ঘুরেনা । আর পাখা না ঘুরলে লক্ষমাত্রা অনুযায়ী উৎপাদন হয়না। উৎপাদনের তুলনায় খরচ অনেক বেশি। তাই পিডিবি উৎপাদন সংস্থার চুক্তির নবায়ন করছেনা।
এদিকে, সোনাগাজীর উপকূলীয় অঞ্চলে নতুন করে আরো একটি একশ মেঘাওয়াট ক্ষমতার বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।