তিস্তা পাড়ে বন্যার পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এজন্য নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। পানি উন্নয়ন বোর্ড পানি বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছেন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় পানি বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে ৫২ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার। এর আগে বিকেল ৩টায় ছিল ৫২ দশমিক ৪২ সেন্টিমিটার। ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে পানি বেড়েছে ৩২ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। উজানে ঢল বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা লক্ষীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, কদিন আগে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তার ইউনিয়নে ১ হাজারে বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়েছিল। সেই দুর্ভোগ এখনো কাটেনি। তার ওপর আবার পানি বৃদ্ধি পেলে মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না।
কোলকোন্দ ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে ইতিপূর্বে তার ইউনিয়নে ভাঙন দেখা দেওয়ায় বিনবিনা চরে ৬ পরিবারের বসতভিটা বিলীন হয়েছে। আবার পানি বৃদ্ধি পেলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া পয়েন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন পানি বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতে পানি বাড়লেও পরদিন সকালে পানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।