বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কারখানার নিহত-আহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও দায়ী মালিকের শাস্তি দাবী করেছে বাসদ নেতৃবৃন্দ।
তারা আজ ৯ জুলাই’২১ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অনলাইন বৈঠকে এই দাবি করেন। দলের আহ্বায়ক কমরেড সন্তোষ গুপ্ত এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন, রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর এর অন্যতম নেতা জাকির হোসেন, সৈকত হোসেন শাহিন, নোয়াখালী জেলার নেতা আবু নাছের সবুজ প্রমূখ।
নেতৃবৃন্দ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কারখানার অগ্নিকাণ্ডে ৫৩ জন শ্রমিকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কারখানার অগ্নিকাণ্ডে ৫৩ জন শ্রমিকের মৃত্যু ও অসংখ্য শ্রমিকের আহত হওয়ার ঘটনা মালিক ও সরকারের ব্যবস্থাই প্রতিছবি। বর্তমান ও অতীতের সরকারের আমলে মিল-কলকারখানা, বাসা, বাড়ি, হোটেল, রেঁস্তোরা, মার্কেট, অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে একের পর এক অগ্নিকাণ্ড, গ্যাস বিস্ফোরণসহ নানা দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। প্রাণ দিচ্ছে নিরীহ মানুষ। অথচ, এসব দুর্ঘটনা রোধে সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।
কল-কারখানাসমূহে কাজের নিরাপদ পরিবেশ নাই। শ্রমিক কর্মচারীদের জীবনের নিরাপত্তা নাই। দুর্ঘটনা ঘটার পর সরকার তদন্ত কমিটি করে, বিভিন্ন আশ্বাস দেয়। কিন্তু পরে তা আর আলোর মুখ দেখে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে কঠোর লকডাউনেও মুনাফালোভী মালিক ও তাদের স্বার্থ রক্ষাকারী সরকার শ্রমিকের জীবনের নিরাপত্তা বিধান না করে করাখানা চালু রেখে শ্রমিকের কাজ করতে বাধ্য করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। শ্রম আইনের শিশু শ্রম নিষিদ্ধ থাকলেও সেজান কারখানায় হতাহতের অধিকাংশ শ্রমিকই নারী ও শিশু।
নেতৃবৃন্দ নিহত শ্রমিকদের আজীবন আয়ের সমরিমাণ ক্ষতিপূরণ, আহতদের উপযুক্ত চিকিৎসা ও পুর্নবাসন এবং ঘটনার যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী মালিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।