ফেনী : ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদ নগরে অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় জেলা ছাত্রলীগের ধর্মীয় বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ ইমনকে কুপিয়েছে যুবলীগ কর্মীরা। শুক্রবার সন্ধায়  ইউনিয়নের খাইয়ারা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় ইমনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

উত্তর ফরহাদ নগর গ্রামের আফাজুল্লাহ মুন্সি বাড়ির বাদশা মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার রাতে দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সজীব হাজারী বাড়িতে গিয়ে বিএনপির লোক সাজিয়ে হামলার চেষ্টা করে।

এসময় শোর চিৎকার শুনে ঘর থেকে বের হয়ে চাচাতো ভাই ইমন আমাকে রক্ষা করে। এনিয়ে ফয়সাল ও সজীব হাজারীর সাথে ইমনের তর্ক হয়।পরদিন শুক্রবার বিকালে খাইয়ারা বাজারে গেলে অপর চাচাতো ভাই নিজামকে মারধর করার খবর পেয়ে ইমনসহ আমরা তাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে ছাত্রলীগ নেতা সজীব হাজারীর উপস্থিতিতে যুবলীগ নেতা ফয়সাল লোকজন নিয়ে ইমনকে কুপিয়ে জখম করে বলে জানিয়েছেন তিনি ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিজাম নামের এক যুবককে মারধর করার সময় তাকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে গেলে টার্গেট করেই ছাত্রলীগ নেতা ইমনের উপর হামলা চালায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সময়মত হাসপাতালে প্রেরণ না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেত বলে তারা জানান।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাহ উদ্দিন ফিরোজ জানান, ইমনের উপর সন্ত্রাসী হামলার পরপরই আমরা হাসপাতালে গিয়েছি। তার অবস্থা বিবেচনায় ডাক্তারের সাথে কথা বলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠিয়েছি। পরে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপির সাথে সাক্ষাত করে বিষয়টি অবগত করেছি। অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।

ফরহাদ নগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন টিপু জানিয়েছেন, আগেরদিনের ঘটনায় বাক বিতণ্ডাকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। যে বা যারাই করুক এটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা।দোষীদের অবশ্য শাস্তি পেতে হবে।

ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জানান,হামলার ঘটনা শুনেছি তবে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পায়নি। পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।