আগে থেকেই জানা ছিল, চ্যাম্পিয়ন হতে পারুন আর না পারুন- ব্যক্তিগত সেরা দুটি অর্জন কিন্তু হাতে উঠতে যাচ্ছে লিওনেল মেসিরই। ফাইনালসহ মোট ৭টি ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে ৫টিতেই ম্যাচসেরা। গোলও করেছেন সর্বোচ্চ চারটি। অ্যাসিস্ট করেছেন ৫টি। তার নিকটে থাকা লওতারো মার্টিনেজ ফাইনালে গোল পাননি।
সুতরাং সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বল এবং টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল যে মেসিই পেতে যাচ্ছেন, তা ছিল অনুমেয়। অবশেষে সেটিই হলো। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা- দুটি সেরা পুরস্কারই উঠল মেসির হাতে।
২০১৪ বিশ্বকাপেও সেরা খেলোয়াড় হিসেবে মেসি জিতেছিলেন গোল্ডেন বল। কিন্তু সেবার তার মুখে কোনো হাসি ছিল না। ছিল পরাজয়ের গ্লানি।
তবে এবার গোল্ডেন বল এবং গোল্ডেন বুটের পুরস্কার হাতে নেওয়ার সময় মেসির মুখে ছিল চওড়া হাসি। এবার যে আর হতাশায় মোড়ানো একটি দিন নয়, বরং সাফল্যে মোড়ানো একটি দিন পেয়ে গেলেন তারা! ১৯৯৩ সালে সর্বশেষ কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এর পর দীর্ঘ ২৮টি বছর পার হয়ে গেছে, আর্জেন্টিনার হাতে শিরোপা ওঠেনি।
গত দেড়টি দশক ফুটবল বিশ্ব শাসন কর যাচ্ছেন। ২০০৭ সালেও মেসি খেলেছিলেন কোপা আমেরিকার ফাইনাল। সেবার ব্রাজিলের কাছে হেরেছিলেন ৩-০ গোলে। এরপর ২০১৪ বিশ্বকাপ, ২০১৫, ২০১৬ কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেও শিরোপা জেতা হয়নি।
অবশেষে ১৪ বছর পর কোপার ফাইনালে ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়ে আর বঞ্চিত থাকতে হয়নি মেসিকে। ডি মারিয়ার একমাত্র গোলে চ্যাম্পিয়ন হয়েই বিজয়য়ী দলের অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা হাতে তুলে নিতে পারলেন লিওনেল মেসি।