ঢাকা: হাজারীবাগে মসজিদ ও মাদরাসার যায়গা বেদখলের অভিযোগ উঠেছে। রাজধানীর হাজারিবাগ থানার মেট্রো হাউজিং এর প্রধান সড়কে বড়বাড়ী মসজিদ ও মাদরাসার জায়গা আসাদুল্লাহ বাদল গংদের জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া যায়। মোঃ দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, হাজারীবাগ থানাধীন শ্রীখন্ড মৌজার সিটি জরিপে ১৮৬৪ নং খতিয়ানের ৬০৩ দাগের ২০.৪২ শতাংশ সম্পত্তির ০৯ শতাংশ সম্পত্তি, বড়বাড়ী মসজিদ ও মাদরাসার নামে ওয়াকফ ষ্টেটে ওয়াকফ করে দিই। উক্ত জায়গায় ১৭/০৩/২০২১ তারিখে মসজিদের উন্নয়নের কাজ করতে গেলে নির্মান কাজে উল্লেখিত স্থানীয় কিছু লোকজন কাজে বাধার সৃষ্টি করে এবং আমার লোকদেরকে মারধর করে মসজিদ নির্মান সামগ্রি লুট করে নিয়ে যায়। এভাবে একাধারে আমার উপর আক্রমন করতে থাকে বাদলগংরা । তখন আমি হাজারীবাগ থানায় শরণাপন্ন হয়ে সাধারন ডায়েরি করি । যার নম্বর যথাক্রমে ৮৯৯ ও ১৬। পরে এ বিষয়ে মেট্রো হাউজিং কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গরা মসজিদের পক্ষে একটি লিখিত রায় প্রদান করেন। কিন্তু তাতেও হারুন ও বাদলগংরা ক্ষ্যান্ত হননি। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে আমাকে শারীরিক হেনস্তা করে। জায়গা ছেড়ে না দিলে বা পঁঞ্চাশ লক্ষ টাকা চাঁদা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন। দ্বাবিকৃত টাকা অথবা জায়গা লিখে দেওয়ার দ্বাবিতে আমাকে মেট্রো হাউজিং এ তারা অবরুদ্ধ করে রাখে । তখন আমি নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ এর সাহায্য নিয়ে পুলিশের সহায়তায় সেখান থেকে মুক্তি পাই । তখন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। কোনো ভাবেই যখন আমাকে আমার সত্ব থেকে বিতাড়িত করতে পারেনি তখন তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় একটি চাঁদাবাজির বানোয়াট মামলা করে। এ বিষয়ে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর একটি দরখাস্ত করি এবং সমাজের বিভিন্ন মহলের দ্বারস্থ হই। আমি আমার সম্পত্তি ফিরে পাওয়া ও মসজিদ পুনঃনির্মান করার লক্ষে উপ- কমিশনার ভূমি বরাবর দরখাস্ত করলে তারা সরেজমিনে তদন্ত করে আমাকে একটি রিপোর্টেও অনুলিপি প্রদান করেন। আমি সব দপ্তরেই আমার জায়গার এবং মসজিদেও অনুকুলে বৈধ কাগজপত্র দেই। কোর্টে মামলা করলে সেখান থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্বস্ব অবস্থানে থাকার হুকুম জারী করেন। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আদালতের হুকুম মানলে ও সন্ত্রাসীরা তা অমান্য করে গত ১৮/০৬/২০২১ ইং তারিখে রাতের আধারে পুরো জায়গা দখল করে আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আদালতকে অবমাননা করে। তারা তাদের কার্যকলাপ সম্পাদিত করতে থাকেন বলে অভিযোগ করেন এই প্রতিবেদককের কাছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ,হাউজিং এর চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম গাজীকে তার মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। আসাদুল্লাহ বাদলকে ফোন করা হলে সে বলে হাসপাতালে তার রুগী ভতির্ আছে, সে এখন এ ব্যাপারে কিছু বলবেন না বলে জানান।