1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১১ অপরাহ্ন

ঢাকা ওয়াসায় এখন দুই ‘এমডি’

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০২১

ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন বিভিন্ন নথিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে স্বাক্ষর করছেন পরিচালক আবুল কাশেম। অন্যদিকে তাকসিম এ খান নিয়মিত ওয়াসার বিভিন্ন সভায় অনলাইনে অংশ নিচ্ছেন। ই-নথির মাধ্যমে তিনিও বিভিন্ন নথিপত্রে স্বাক্ষর করছেন। গত ৩১ মে ওয়াসার এমডি বরাবর পাঠানো একটি মুঠোফোন কোম্পানির বিলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন আবুল কাশেম। গত ১৬ জুন ওয়াসার একজন কর্মীর অবসর ভাতাবিষয়ক নথিতেও এমডি হিসেবে তাঁর স্বাক্ষর রয়েছে।

অন্যদিকে ৬ জুলাই ওয়াসা ভবনে অবস্থিত ঢাকা ওয়াসা বহুমুখী সমবায় সমিতি কার্যালয়ের জায়গা খালি করাসংক্রান্ত অফিস আদেশের খসড়ায় এমডি হিসেবে স্বাক্ষর করেন তাকসিম এ খান। গত ৬ মে অনুষ্ঠিত ওয়াসার ২৭৯তম বোর্ড সভাতেও (ভার্চ্যুয়াল) এমডি হিসেবে অংশ নেন তিনি।

২০০৯ সালে প্রথম দফায় নিয়োগ পাওয়ার পর আর পদ ছাড়তে হয়নি তাকসিম এ খানকে। নাগরিক সেবার মান নিয়ে তীব্র সমালোচনা ও নানা বিতর্কের মুখে পড়লেও ওয়াসার এমডি পদে দফায় দফায় নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। ষষ্ঠবারের মতো তাকসিমকে ওয়াসার এমডি হিসেবে নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয় গত বছরের ১ অক্টোবর। প্রতিবারই তাঁর নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী তাকসিম এ খান ছুটিতে আছেন—এই প্রশ্নের জবাবে বোর্ডের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, এ বিষয়টি মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে। লিখিত জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসা সুন্দরভাবে চলছে। পরিচালনায় কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা শুধু কিছু সাংবাদিকের।’

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পানি সরবরাহ) মুহম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী, এমডির দায়িত্বে আছেন ওয়াসার পরিচালক (উন্নয়ন) আবুল কাশেম। আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে আবুল কাশেমের সঙ্গে।’

তবে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে তাকসিম এ খান এক অফিস আদেশে নিজেকে ‘অনলাইন এমডি’ ঘোষণা করে যান। ওই অফিস আদেশে বলা হয়, বিদেশে অবস্থানের সময় যেকোনো পলিসি (নীতি) এবং অন্যান্য বিষয়ে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন।

সরকারি চাকরির বিধিবিধান বিশেষজ্ঞ সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া বলেন, ছুটিতে থাকা অবস্থায় তাকসিম এ খান কোনো নথিতে স্বাক্ষর করতে পারবেন না। ছুটিতে থাকা অবস্থায় নথিতে স্বাক্ষর করলে দুটি বিষয় হবে। এর একটি হবে হয় তিনি আর ছুটিতে নেই, নয়তো তাঁর স্বাক্ষর অবৈধ। আর রুটিন দায়িত্বে থাকা আবুল কাশেম অর্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্বাক্ষর করতে পারেন না।

সূত্রঃ প্রথম আলো

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি