করোনার টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তাকে অত্যন্ত হতাশাজনক বলেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের। তিনি বলেন, যেখানে ২৭ থেকে ২৮ কোটি ডোজ টিকা দরকার, সেখানে সরকার ঘোষণা করছে পাঁচ লাখ ডোজ, ১০ লাখ ডোজ টিকা আসছে। বাকি টিকা কখন, কোথা থেকে আসবে, তা কেউ জানে না। এটা অত্যন্ত হতাশাজনক।
দলের প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিকেলে কাকরাইলে জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুব সংহতি আয়োজিত স্মরণসভা ও দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে জি এম কাদের এসব কথা বলেন। তিনি সব রাজনৈতিক দল, এনজিও এবং পেশাজীবীদের নিয়ে করোনা মোকাবিলা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
জি এম কাদের বলেন, ভ্যাকসিন হচ্ছে করোনা মোকাবিলার প্রধান অস্ত্র। সবাইকে যত দিন টিকা দেওয়া না যাবে, তত দিন সরকারিভাবে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। আবার লকডাউন দিলে কর্মহীন মানুষের পরিবারপ্রতি মাসে অন্তত ১০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। কারণ, কারও ঘরে খাবার না থাকলে সে লকডাউন মানবে না।
করোনায় মানুষ কষ্টে আছে, তাদের বাঁচাতে হবে। তাই অন্তত দুই কোটি পরিবারকে মাসে ১০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। রাজনৈতিক বিবেচনা না করে প্রকৃত দরিদ্র পরিবারকে জরুরি ভিত্তিতে অর্থসহায়তা দিতে হবে।
জাপার চেয়ারম্যান বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বাজেটে খুবই কম টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর বরাদ্দের বিশাল অংশই দুর্নীতিবাজেরা লুটপাট করে খায়। তিনি বলেন, যারা মানুষের জানমালের দায়িত্ব পালনের শপথ নিয়েছে, তারা দায়িত্বে অবহেলা করলে শুধু জনসাধারণ নয়, আল্লাহর দরবারেও জবাব দিতে হবে।
জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক এইচ এম শাহরিয়ার আসিফের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সদস্যসচিব আহাদ ইউ চৌধুরীর পরিচালনায় স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন জাপার কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা জহিরুল আলম, হারুন আর রশীদ, ভাইস চেয়ারম্যান তারেক এ আদেল, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।