নিউজ ডেস্ক :
বাংলাদেশের নারী ফ্রিল্যান্সারদের মধ্য থেকে ৫ জনকে ‘সফল নারী ফ্রিল্যান্সার সম্মাননা ২০২০’ প্রদান করলো দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ‘শিখবে সবাই’। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) প্রতিষ্ঠানটির বনানী শাখায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
যারা নিয়মিত ‘শিখবে সবাই’ ফ্রিল্যান্সার কমিউনিটিতে পোস্ট এবং ডেটা সরবরাহ করেছে তাদের মধ্য থেকে ৫ জনকে সফল নারী ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নির্বাচন করে সম্মাননা দেওয়া হয়। ‘শিখবে সবাই’ ইনস্টিটিউটে এই পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার নারী বিভিন্ন আইটি দক্ষতা এবং ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এদের বেশিরভাগই এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করে আয় করছেন।
চাকরি, ব্যবসা কিংবা গৃহিণী- এই সব পরিচয় ছাপিয়ে আইটি সেক্টরে নিজেদের দক্ষ করে ‘ফ্রিল্যান্সার’ পরিচয়ে পরিচিত হচ্ছেন নারীরা। সফলতার সঙ্গে কাজ করছেন বিশ্বের জনপ্রিয় এবং শীর্ষস্থানীয় অনলাইন কাজের ক্ষেত্র ফাইভার, আপওয়ার্ক, পিপল পার আওয়ারের মতো প্ল্যাটফর্মে। তাদের সাহস, পরিশ্রম এবং সাফল্য লাভের তীব্র ক্ষুধাই পৌঁছে দিচ্ছে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে।
করোনাকালীন পুরো বিশ্ব যেখানে থমকে গিয়েছে, সে সময়েও প্রচন্ড ব্যস্ত সময় পার করেছেন ফ্রিল্যান্সাররা। ছেলেদের পাশাপাশি সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন নারী ফ্রিল্যান্সাররা। যদিও বর্তমানে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে মাত্র ৯ শতাংশ নারী ফ্রিল্যান্সার কিন্তু এই সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
দেশের সফল ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক অ্যান্ড ইলাস্ট্রেশন ডিজাইনার নুসরাত রেদওয়ান বলেন, নির্দিষ্ট লক্ষ নিয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে গেলেই কেবল সাফল্য পাওয়া সম্ভব। কারণ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে শুধুমাত্র কাজের কোয়ালিটিই এনে দিবে সাফল্য।
আরেক অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার মানজুআরা নিতু বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে পরিশ্রম আর ইচ্ছার বিকল্প নেই। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারীদের জন্য রয়েছে অপার সম্ভাবনা।
‘শিখবে সবাই’-এর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আবদুল কাদের বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ফ্রিল্যান্সারদের অবদান অনস্বীকার্য। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই নারী ফ্রিল্যান্সাররাও। তাদের উৎসাহ এবং স্বপ্ন দেখাতে পরিবারেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নারীদের ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়ে স্বাবলম্বী করতে।