পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সিলেট সিটি করপোরেশনের বাসিন্দাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘চলুন সবাই ভ্যাকসিন দেই, নিজে সুস্থ থাকি, সবাইকে নিরাপদ রাখি আর করোনাকে জয় করি।’
এদিকে মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, আগামী ১১ আগস্টের পর ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ মুভমেন্ট করলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি বলেন, অবশ্যই সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে হবে। দেশব্যাপী ১৪ হাজার কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১১ তারিখ থেকে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করবে। টিকা ছাড়া ১৮ বছরের বেশি কেউ চলাচল করলে তাকে সাজার আওতায় আনা হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে দুটি করে কেন্দ্র থাকবে, আর সিটিতে থাকবে ৫/৬টি কেন্দ্র।
মন্ত্রী বলেন, ১১ তারিখে সব পর্যায়ের মানুষ যারা কাজ করছেন তারা ভ্যাকসিন নেবেন এবং সনদ নিয়ে কাজে যোগ দেবেন। দেশের ১৮ বছরের ওপরে সব নাগরিক ভ্যাকসিন নেবেন। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবেন না তাদের মানাতে প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন করা হবে। আমরা জানিনা করোনার সংক্রমণ কবে কমবে। কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আইন না করলেও অধ্যাদেশ জারি করে হলেও শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে। যেহেতু সংসদ বন্ধ তাই আইন পাস করা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে শনিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাপানের উপহারের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় চালান গ্রহণ শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ৭ আগস্ট থেকে সারাদেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। এতে বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এমনকি কারও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) না থাকলেও বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা দেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসে বয়স্করাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তারাই বেশি মারা যাচ্ছেন। আমরা মৃত্যুর হার কমাতে চাই। তাই এ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি।