জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সচিবালয়ে বুধবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) নবারুণ ও সচিত্র বাংলাদেশ মাসিক পত্রিকা দুটির মুজিববর্ষ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তথ্য তুলে ধরে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারে সাক্ষ্যপ্রমাণই বলে দেয় জিয়াউর রহমান এতে যুক্ত, তার সম্পৃক্ততা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।’
বিএনপি মিথ্যাচারে যুক্ত বলে অভিযোগ তুলে মন্ত্রী বলেন, ‘আগস্ট মাস এলেই বিএনপি নানা কথা বলে, জঘন্য মিথ্যাচার করে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের সময় সাক্ষী ও আসামিরা যে জবানবন্দি দিয়েছে, সেগুলো তো রেকর্ডেড। তারা জবানবন্দিতে স্পষ্টভাবেই বলেছে কখন, কোথায় জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। জিয়াউর রহমান কী বলেছে, কীভাবে সম্মতি দিয়েছে, তাও জানিয়েছে।’
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমানের যুক্ত থাকার বিষয়টি আত্মস্বীকৃত খুনি কর্নেল ফারুক ও রশিদ ১৯৭৬ সালের আগস্টে যুক্তরাজ্যের একটি টেলিভিশনকে জানিয়েছে বলেও দাবি করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘জিয়া যদি মোশতাকের আস্থাভাজনই না হয়, তাহলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জিয়াউর রহমানকে কেন সেনাপ্রধান করা হলো? বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হচ্ছে জিয়াউর রহমান এবং তার পরিবার।’
মন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর ছিলেন। তিনি রণাঙ্গনে, আর তার স্ত্রী-পুত্ররা পাকিস্তানিদের কাছে মেহমানের মতো থাকে, এ থেকেই তো গোমরটা বোঝা যায়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন জিয়াউর রহমানের কাছে পাকিস্তানি কর্নেল বেগের লেখা যে চিঠি, তাতেও অনেক বিষয় স্পষ্ট। চিঠিতে লেখা ছিল- ‘‘তুমি চিন্তা করো না, তোমার স্ত্রী-পুত্ররা ভালো আছে। তোমার কাজে আমরা সন্তুষ্ট।’’- এগুলো তো অস্বীকার করার উপায় নেই।’