ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমণির অবৈধ কাজের সঙ্গে যার জড়িত, নেপথ্যে যারা আছে তাদের শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) বেলা সোয়া ২টার দিকে ডিএমপির ডিবি কার্যালয়ের সামনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পরীমণি যেসব অবৈধ কাজ ও ব্যবসা করতেন, সেগুলো কাদের নিয়ে করতো, কাদের সহযোগিতায় করতো, কারা তার নেপথ্যে রয়েছে, আমরা তাদের নাম পেয়েছি। তার বক্তব্য নোট করছি। যারাই তার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদেরই গ্রেফতার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা মাদক ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে, তারা এবং তাদের সন্তানরাই খারাপ কাজে লিপ্ত। যারা এই কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বিষয়ে তিনি বলেন, রাজ একজন লেখাপড়া না জানা মানুষ। সে ছোট্ট একটা চাকরি করতো। বিভিন্ন মডেলকে নিয়ে সে ঘরোয়া পার্টি করতো। উচ্চবিত্তদের মডেল সাপ্লাই দিতো। তার কাছ থেকেও আমরা তথ্য পেয়েছি। সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে আটক করা হয়। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয় বলে জানায় র্যাব। পরদিন বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব জানায়, পরীমণির বাসায় একটা মিনি বার ছিল। তার বাসায় নিয়মিত পার্টি হতো। সেই পার্টিতে মদসহ সব ধরনের মাদক সাপ্লাই দিতো নজরুল ইসলাম রাজ। রাজের নেতৃত্বে একটা সিন্ডিকেট ছিল, যাদের কাজই হলো উঠতি বয়সী তরুণীদের দিয়ে নানারকম অপকর্ম করানো। পরীমণিকে আটকের আগের দিন মঙ্গলবার মিশুক ও জিসানকে গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরীমণি ও রাজের বাসায় অভিযান চালানো হয়।