নিজস্ব প্রতিবেদক :
আজ রোববার সকাল থেকে শুরু হয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন কার্যক্রম। আবেদন শেষে পরবর্তী ষাট দিনের শুরু হবে নিয়োগ পরীক্ষা। এর আগে আবেদন কার্যক্রম ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) থেকে জানা গেছে, এক মাস ধরে আবেদন প্রক্রিয়া চলিার পর ৬০ দিনের মধ্যে পরীক্ষার সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা শেষে ২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। এরপর ফল প্রকাশ করে পদায়ন শুরু হবে।
ডিপিই এবারের পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যার ওপর নির্ভর করে পরীক্ষায় কিছু বদল আনতে পারে। এক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষাটি দ্রুততম সময়ে আয়োজনের চিন্তা করা হচ্ছে। যাতে করে আবেদনকারীর সংখ্যা কম হলে নির্ধারিত সময়ের চেয়েও অল্পসময়ে নিয়োগ পরীক্ষা শেষ করা যায়। তবে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হলে লিখিত পরীক্ষা শেষ করতে বেশি সময় লাগবে।
এ বছরও শিক্ষকদের একটি শূন্য পদের বিপরীতে তিনজন প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করার পরিকল্পনা করছে ডিপিই। ডিপিই’র সহকারী পরিচালক আতিক বিন সাত্তার বলেন, আমরা পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটিতে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি করতে চাই। যাতে করে কেবল মেধাবীরাই পরীক্ষার বাঁধা ডিঙিয়ে শিক্ষকের পদটিতে বসার সুযোগ পান।
তিনি জানান, এ বছর সাড়ে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও শূন্য আসনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে। তবে এই নিয়োগটিতে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না। তাদের জন্য আলাদা নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে।
শিক্ষক নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, রোববার ২৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। শেষ হবে ২৪ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে। সহকারী শিক্ষকদের বেতন হবে জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ এর গ্রেড ১৩ অনুযায়ী ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা। প্রার্থীদের বয়স ২০ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং গত ২৫ মার্চ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩০ বছর। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে এ বয়সসীমা হবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ৩২ বছর।
শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ-সহ স্নাতক বা সম্মান বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা।