ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার মুকুলের ‘অডিও ক্লিপের কথাগুলো যদি সত্য হয়ে থাকে তা হলে এটা খুবই নিন্দনীয়, অপ্রত্যাশিত’ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৩০ আগস্টের মধ্যে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে হওয়া তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দিয়ে এ বিষয়ে ১ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আব্দুল্লাহ আল হারুন রাসেল।
এর আগে গত ৮ আগস্ট ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ডের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম নামে এক ব্যক্তি রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
রিটে নৈতিকস্খলনের দায়ে অধ্যক্ষকে পদ হতে অব্যাহতি দেওয়ার আরজি জানানো হয়। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সদস্য মনিরুজ্জামান খোকনের ২৭ মিনিট ৩ সেকেন্ডের একটি ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা ঘটে। অভিভাবক ফোরামের উপদেষ্টা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর সঙ্গে অধ্যক্ষের ফোনালাপ ফাঁসের পর গত ২৮ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস করা হয় এই ফোনালাপটি।