নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শোককে শক্তিতে পরিণত করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দুরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এখন বিস্ময়কর। আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাব এবং গড়ে তুলব বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ।
আজ শনিবার ঢাকায় বিআইডব্লিউটিএ ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২১ উপলক্ষে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান এ এস এম আলী কবীর, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম লায়লা জেসমিন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর, নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো.জালাল উদ্দিন ও বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন গুজব রটিয়েছে। জিয়াউর রহমানের প্রথম কাজই ছিল বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে কলুষিত করা। এ জন্য জিয়া রাষ্ট্রযন্ত্র ও অর্থ ব্যবহার করেছে। যুবকদের ধ্বংস করতে অস্ত্র তুলে দিয়ে সন্ত্রাসী বানানো হয়েছে। জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া অনেক ষড়যন্ত্র করে ও বঙ্গবন্ধুকে অন্ধকারে নিয়ে যেতে পারেনি, কারণ বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষের হৃদয়ে রয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড নিছক ব্যক্তি হত্যাকাণ্ড নয়, নিছক পরিবার হত্যাকাণ্ড নয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ’৭১ এর বিজয় ও স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার অস্বীকৃতি-এ হত্যাকাণ্ড। ঘাতকরা ’৭৫ এর ১৬ আগস্ট থেকে তাদের নীলনকশা বাস্তবায়ন শুরু করে। ’৭৫ এর খুনিদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। জিয়াউর রহমান খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে তাদেরকে পুরস্কৃত করেছে। ইনডেমিনিট অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রদ্ধ করে দিয়েছিল জিয়াউর রহমান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য দোয়া কামনা করা হয়।