ইয়াবা-স্বর্ণের অবৈধ বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মাদক সরবরাহ চক্র। বিমানে কর্মরত কিছু অসাধু ব্যক্তির সমন্বয়েই গড়ে উঠেছে এই সিন্ডিকেট। তাদের মাধ্যমেই নিরাপদে মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছে ইয়াবা, আসছে স্বর্ণ। টেকনাফ, কক্সবাজার থেকে ঢাকা হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে পৌঁছে যাচ্ছে এই মরণনেশা।সূত্রে জানা গেছে, বিমানে কর্মরত অন্তত ৩০ জন ক্রু এই মরণনেশার বাণিজ্যে সম্পৃক্ত। জড়িত ব্যক্তিরা রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়েছেন।দেশে বিদেশে বাড়ি-গাড়ি করেছেন অনেকেই। করোনায় বিপর্যস্ত দেশে মাদকের অবাধ সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে। সর্বত্রই মাদকের সরবরাহ, কেনাবেচা এমনকি দেশ থেকে বিদেশেও মাদক পাচারের সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের বেপরোয়া তৎপরতা চলছে। ইদানীং কুমিল্লা সিন্ডিকেটের মাদক ব্যবসায়ীরা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের আট দেশে ইয়াবা ও গাঁজার চালান পাঠিয়ে ব্যাপক আলোচিত হয়ে উঠেছেন। এরই মধ্যে চক্রটির অন্তত ছয় সদস্যকে মাদকসহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক করা হলেও কুরিয়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় তাদের মাদকের চালান পাঠানো কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। নিত্যনতুন যেসব পদ্ধতিতে মাদক সরবরাহ ঘটছে সেসব ব্যাপারে মাদকের গোয়েন্দা উইং কিছুটা ধোঁয়াসায় থাকায় অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। মাঝেমধ্যে সংবাদপত্রে এসব নিত্যনতুন কৌশলের খবর প্রকাশ হলে কিছুটা নড়েচড়ে বসেন সংশ্লিষ্টরা।