বিশ্বের ২৮টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে পেরুর ভ্যারিয়েন্ট বলে পরিচিত ল্যাম্বডাও (সি.থার্টি সেভেন)। অবশেষে তা দেশেও শনাক্ত হলো।
জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা (জিআইএসএআইডি) থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। সেখানে জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য আপলোড করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)। জিনোম সিকোয়েন্স যৌথভাবে করেছে বিসিএসআইআর এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
জিনোম সিকয়েন্সের তথ্য থেকে জানা যায়, রাজধানীতে ৪৯ বছর বয়সী একজন নারীর নমুনা সিকোয়েন্সিং করে এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। মার্চ মাসে সংগ্রহ করা নমুনায় ল্যাম্বডার উপস্থিতি পাওয়া যায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বেশিরভাগ মিউটেশনের ফলে ভাইরাসটির মূল গঠনের ওপর খুব কম বা একেবারেই কোনো প্রভাব পড়ে না। সময়ের সঙ্গে এটি বিলুপ্তও হয়ে যায়। কিন্তু কোনো কোনো মিউটেশন এমনভাবে ঘটে, যা ভাইরাসটিকে টিকে থাকতে এবং বংশবৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ইতোমধ্যেই দেশে বিভিন্ন সময়ে নমুনার সিকোয়েন্সিং করে যুক্তরাজ্যের ভ্যারিয়েন্ট বলে পরিচিত আলফা (বি.ওয়ান.ওয়ান.সেভেন), দক্ষিণ আফ্রিকার বেটা (বি.ওয়ান.থ্রি ফিফটি-ওয়ান), ব্রাজিলের গামা (পি.ওয়ান) ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। তবে ডেল্টাসহ চারটি ভ্যারিয়েন্টকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন বলে ঘোষণা করেছে।
এ ছাড়া দেশে পাওয়া গেছে নাইজেরিয়ার ভ্যারিয়েন্ট বলে পরিচিত ইটা (বি.ওয়ান.ফাইভ টুয়েন্টি ফাইভ)। ল্যাম্বডা ও ইটা বর্তমানে ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।