তালেবান যোদ্ধারা কাবুল দখলের পর সেখানকার প্রধান কারাগার পুল-ই-চরখির দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বন্দি তালেবান যোদ্ধাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কারাগারটিতে বন্দি তিন বাংলাদেশিও মুক্ত হয়েছেন।
অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা এবং তালেবানকে সহায়তার অভিযোগে ওই তিন জনসহ চার বাংলাদেশি বহু বছর ধরে পুল-ই-চরখিতে বন্দি ছিলেন।
সোমবার (১৬ আগস্ট) উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মুক্ত হওয়া তিন বাংলাদেশি হলেন- খুলনার দৌলতপুর উপজেলার মঈন আল মেজবাহ, রাজধানীর মিরপুরের (ভাসানটেক) কাওসার সুলতানা এবং ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার উবাইদুল্লাহ হারুন।
দূতাবাসের তথ্য মতে, জেলে থাকা চতুর্থ বাংলাদেশি সিরাজ আবদুস সাত্তারের কোনো হদিস এখনো মেলেনি। বাংলাদেশের কোন জেলা বা উপজেলায় তার বাড়ি সে সম্পর্কেও দূতবাসের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলম।
এদিকে আফগানিস্তানে থাকা কোনো বাংলাদেশির এখন পর্যন্ত হাতাহত বা বিপদে পড়ার খবর পাননি দাবি করে রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের ছয় কর্মকর্তাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। তারা বর্তমানে কাবুলে ব্র্যাকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের বাসভবনে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন। আমেরিকান বংশোদ্ভূত ব্র্যাকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আগেই নিরাপদে কাবুল ছেড়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক দেশটির অন্য কোথাও আছেন কি না, তা জানাতে আফগানিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। আফগানিস্তানে কোনো বাংলাদেশি যদি থেকে থাকেন, তাদের সহায়তার জন্য দুটি হটলাইন (+৯৯৮৯৭৪৪০২২০১ ও +৯৯৮৯০৩২৭৫১৫২) খোলা হয়েছে।
দূতাবাসের সরবরাহ করা তথ্য মতে, ব্র্যাকের ওই ছয় কর্মকর্তা হলেন- ঢাকার বাসিন্দা মো. করিম শিকদার ও মোহাম্মদ সরফরাজ, রংপুরের মো. আসাদুজ্জামান, যশোরের মো. কামাল হোসেন, ফরিদপুরের রফিকুল হক মৃধা এবং নোয়াখালীর মো. ইউসুফ হোসেন।
এদিকে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক জানিয়েছে, আফগানিস্তানে ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের ছয় কর্মকর্তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। এর আগে গত শুক্রবার তিন জনকে ফেরানো হয়। সেখানে তাদের সর্বশেষ ৯ বাংলাদেশি কর্মকর্তা কর্মরত ছিলেন।