১, ১ ও ০- যথাক্রমে পাকিস্তানের টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের স্কোর। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩.৫ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ তখন ২ রানে ৩ উইকেট! শুরুর এমন ধাক্কার পর অবশ্য দিনের শেষটা বেশ ভালোই করেছে সফরকারীরা। যার পুরো কৃতিত্ব অধিনায়ক বাবর আজম ও অভিজ্ঞ ফাওয়াদ আলমের।
শুক্রবার জ্যামাইকার সাবিনা পার্কে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ম্যাচ হেরে বসে থাকা পাকিস্তানকে সিরিজ বাঁচাতে জিততে হবে এই ম্যাচ। সেই মিশনে প্রথম দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২২১ রান। ফিফটি পেরুলেও সেঞ্চুরি পাননি ফাওয়াদ-বাবর।
স্বাগতিকদের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তানের ইনিংসের প্রথম ওভারেই আঘাত পেসার কেমার রোচের। ডানহাতি ওপেনার আবিদ আলি (১) শরীর সামনে না নিয়েই খোঁচা দিয়ে বসেন, তৃতীয় স্লিপে হন ক্যাচ।
এক ওভার বিরতি দিয়ে আরও এক উইকেট হারায় সফরকারিরা। এবার আজহার আলি (০) রোচের দুর্দান্ত এক ডেলিভারি ডিফেন্ড করতে গিয়ে এজ হন, উইকেটরক্ষকের কাছে চলে যায় বল।
পরের ওভারে আঘাত আরেক পেসার জেডেন সিলসের। অনেকটা আজহারের মতোই ডিফেন্ড করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের পেছনে ক্যাচ হয়েছেন ইমরান বাট (১)। যদিও বোলারের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ রিভিউ নেয় এবং রিপ্লেতে দেখা যায়, বল ব্যাটে হালকা ছুঁয়ে গেছে।
মাত্র ২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর শক্ত হাতে ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক বাবর ও অভিজ্ঞ ফাওয়াদ। দুই ডানহাতি-বাঁহাতির জুটির সামনে ধীরে ধীরে ম্লান হতে থাকে ক্যারিবীয়দের পেসনির্ভর আক্রমণ। প্রথম সেশনে আর উইকেট না হারানোর পর দিনের দ্বিতীয় সেশনের পুরোটা নির্বিঘ্নে কাটায় পাকিস্তান।
চতুর্থ উইকেট জুটিটি একশ পেরিয়ে ছাড়িয়ে যায় দেড়শ রানের ঘরও। কিন্তু তখনই আসে বাধা। দীর্ঘক্ষণ ধরে খেলতে খেলতে ক্র্যাম্প করে বসেন ফাওয়াদ। যার ফলে দলীয় ১৬০ রানের মাথায় আহত অবসর হয়ে সাজঘরে ফিরে যেতে হয় তাকে। তখন তার নামের পাশে ১৪৯ বলে ১১ চারের মারে ৭৬ রানের ইনিংস।
অভিজ্ঞ সঙ্গীর সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত বিচ্ছেদের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বাবর। ইনিংসের ৬১তম ওভারে দলীয় ১৬৮ রানের মাথায় রোচের বলে ধরা পড়েন দ্বিতীয় স্লিপে থাকা জেসন হোল্ডারের হাতে। ফলে সমাপ্তি ঘটে ১৭৪ বলে ১৩ চারের মারে খেলা ৭৫ রানের সম্ভাবনাময় ইনিংসের।
দিনের শেষভাগে আর বিপদ ঘটতে দেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফাহিম আশরাফ। শেষের এক ঘণ্টায় অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৫৩ রান যোগ করেন এ দুজন। রিজওয়ান ২২ ও ফাহিম ২৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন। প্রথম দিন খেলা হয়েছে মোট ৭৪ ওভার।