1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন

সিআরবি এলাকাটি নিজেই যেন একটি প্রাকৃতিক হাসপাতাল

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ২৩ আগস্ট, ২০২১

চট্টগ্রাম নগরের ইতিহাস-ঐতিহ্যমণ্ডিত সবুজ পাহাড়ি এলাকা সিআরবির বনজঙ্গলে ১৮৩টি ঔষধি গাছের সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলো ক্যানসার, হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, জন্ডিস, অর্শসহ বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিআরবি এলাকাটি নিজেই যেন একটি ‘প্রাকৃতিক হাসপাতাল’। এখানে হাসপাতাল নির্মাণ করা হলে এসব ঔষধি গাছের বেশির ভাগ ধ্বংস হবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওমর ফারুক রাসেলের নেতৃত্বে বেসরকারি সংস্থা ইফেক্টিভ ক্রিয়েশন অন হিউম্যান ওপিনিয়ন (ইকো) গবেষণাটি করে। চট্টগ্রাম নগরের ২০টি এলাকার গাছের ওপর চার মাসের বেশি সময় ধরে গবেষণাটি করা হয়। গবেষণার অন্তর্ভুক্ত এলাকাগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের ‘ফুসফুস’খ্যাত সিআরবি রয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার গবেষণার ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
জানতে চাইলে ওমর ফারুক বলেন, ‘সিআরবি এলাকাটি নিজেই যেন একটি প্রাকৃতিক হাসপাতাল। এখানে আমরা ১৮৩টি ঔষধি গাছের সন্ধান পেয়েছি। এসব গাছ বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বনৌষধির পাশাপাশি মেডিকেল সায়েন্সের ওষুধের জন্যও এসব উদ্ভিদ ব্যবহার করা হয়। আমাদের উচিত এই গাছগুলো সংরক্ষণ করা।’
গবেষণায় সিআরবি এলাকায় মোট ২২৩ প্রজাতির উদ্ভিদ পাওয়া যায়।তার মধ্যে গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ ৩৪ প্রজাতির। লতাজাতীয় উদ্ভিদ ২২ প্রজাতির। বিপন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ৯টি। ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হতে পারে—এ রকম উদ্ভিদ ৬৬টি। এলাকাটিতে বড় বৃক্ষ রয়েছে ৮৮টি। যার মধ্যে শতবর্ষী গর্জন ও শিরীষ আছে। গবেষণায় সিআরবির চেয়ে নগরের বাটালি পাহাড় ও মুরগির ফার্ম এলাকায় মাত্র দুই থেকে সাতটি ঔষধি গাছ পাওয়া গেছে। গাছের সংখ্যা ও বৈচিত্র্যের দিক থেকে সিআরবি নগরের ২০টি এলাকার মধ্যে তৃতীয়।গবেষণার উদ্যোক্তা ইকোর সভাপতি সরওয়ার বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহর ক্রমেই বনজঙ্গলশূন্য হয়ে পড়ছে। এই উদ্বেগ থেকে বর্তমানে এখানে কী পরিমাণ সবুজ অবশিষ্ট রয়েছে, তা অনুসন্ধানের জন্য আমরা গবেষণাকর্মটির উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আমাদের গবেষকেরা অনেক ঔষধি গাছের সন্ধান পেয়েছেন।’
গবেষকেরা জানান, সিআরবি এলাকায় যেসব ঔষধি গাছ পাওয়া গেছে, তার মধ্যে টোনা (Oroxylum indicum), অর্জুন (Terminamia arjuna), লজ্জাবতী (Mimosa pudica), আপাং (Achyranthus aspera), নিসিন্দা (Vitex nikundu), টগর (Tabernaemontana divericata), শজনে (Moringa oliefera), দেবকাঞ্চন (Bauhinia purpuria), মাটমিন্দা (Tacca intigrifolia), সর্পগন্ধা (Rauvolfia tetraphylla), বকুল (Mimusops elengi), শিমুল (Bombax ceiba), পিতরাজ (Aphanamixis polystachya), দুধকুরুস (Wrightia arborea), বাকা গুলঞ্ছ (Tinospora erispa), সোনাতলা (Diploclasia glaucescens), দুরন্ত (Duranta erecta) ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি