আরও একধাপ এগিয়ে গেল স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ। সেতুতে রেলপথের স্ল্যাব বাসানোর দুই মাসের মাথায় শেষ হলো সড়কপথের স্ল্যাব বসানোর কাজ। সড়কপথে মোট ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়।
আজ সোমবার (২৩ আগস্ট) সকালের মধ্যে ১০টা ১২মিনিটের দিকে সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারে সর্বশেষ রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ হয়। এতে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে পূর্ণাঙ্গ রূপ পেল সড়কপথ।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর কাজ আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এ ছাড়া পদ্মা সেতুর মাঝখান দিয়ে গ্যাসলাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে শেষ হতে চলছে রেললাইনের কাজও। আগামী বছরের জুনের আগেই সম্পূর্ণ কাজ শেষ করা হবে। এ জন্য এ প্রকল্পে কর্মরত সবাই একযোগে দিনরাত কাজ করে চলেছেন।
প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, রবিবার পর্যন্ত সেতুর ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে বসানো হয়েছিল ২ হাজার ৯১৪টি। রাত থেকে বাকি তিনটি স্ল্যাব বসানোর কাজ চলছিল। রাতে দুটি ও বাকি থাকা একটি স্ল্যাব সকাল ১০টা ১২ মিনিটে বসানো হয়।
এর আগে, চলতি বছরের ২০ জুন শেষ হয়েছিল দ্বিতল সেতুর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ।
প্রকৌশলী সূত্রে আরও জানা যায়, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত সেতু প্রকল্পের সার্বিক কাজ এগিয়েছে ৮৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি ৯৪ দশমিক ২৫ শতাংশ।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছিল ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর।
একই সঙ্গে চলতে থাকে রোডওয়ে ও রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোসহ বাকি কাজ। ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যেই এই সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা রয়েছে।