বিশেষ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং সজিব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মেজর (অব.) দেলোয়ার, সাংবাদিক কনক সারওয়ার, ইলিয়াছ হোসেন গংরা ইউটিউবে ফেসবুকে অকাট্য মিথ্যাচার গুজব রটাতে দেখা গেছে। এই গংরা মিলে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নানাভাবে সরকারের বিরুদ্ধে যাবার উস্কানী দিচ্ছে। বিষয়টি স্পর্শকাতর হলেও প্রতিদিন কোন না কোন সময়ে এই গংরা তাদের সম্প্রচার অব্যাহত রাখছে। তাদের এসব কর্মকা- ও প্রচার ডিজিটাল আইনে কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বছরের পর বছর ধরে প্রতিদিন ইলিয়াছ গংরা এই অপকর্ম চালিয়ে গেলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও মন্ত্রিদের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। দলের লাখ কোটি নেতাকর্মীরাও কেন জানি নিরব। অথচ ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক মাধ্যমে ইলিয়াছ গংরা এনটিভির সাহেদ আলমরা প্রতিদিন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অসত্য গুজব রটিয়ে চলছে। এ প্রসঙ্গে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে এবং বার বার ক্ষুদেবার্তা পাঠালে এবং তার পিএস এপিএসের সহযোগিতা চাইলে জাতীয় অর্থনীতির প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেননি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এই প্রসঙ্গে বলেছেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছি। অপরদিকে ডাক, তার ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, লিংকদিন, ফেসবুককে ব্যবস্থা নিতে বলব। তথ্যমন্ত্রী ডা. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান আশিক জাতীয় অর্থনীতিকে বলেন, বিষয়গুলো নজরে আসা মাত্রই আমরা কি করা যায় দেখব।
সরকারের সংশ্লিষ্টরা সরকারের মত করে বিধি বিধান মোতাবেক চেষ্টা করবে। সেটি হলো প্রাতিষ্ঠানিক। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিসভা, ৩০০ সংসদ সদস্য, লক্ষ কোটি নেতাকর্মীরা কোথায়? তারা কি এসব দেখে না? না দেখার তো সুযোগ নেই। ফেসবুক, ইউটিউব, মোবাইল খুললে সাহেদ আলম, মেজর (অব.) দেলোয়ার, ইলিয়াছদের লাইভ দেখা যায়। এর রহস্য কি? এর সঠিক জবাব কেউ দিতে পারে না। তাহলে শেখ হাসিনাকে ঘায়েল করার কবল থেকে রক্ষা করার কেউ নেই? এ প্রশ্ন সচেতন মহলের।