কলকাতার এই মুহূর্তের অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। দীর্ঘ করোনাকালে ঘ্রে অবস্থানের পর একটু-আধটু বাইরে বের হতে শুরু করেছেন। তাঁর অভিনীত ‘বিনি সুতোয়’ সিনেমাটির বিশেষ প্রদর্শনী হচ্ছে কলকাতার নন্দনে। আর এই প্রদর্শনীস্থলেই ভক্তদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে নন্দনের প্রদর্শনী হলে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। বিষয়টি ঋত্বিক চক্রবর্তী নিজেই ফেসবুকে জানিয়েছেন।
রবিবার নিজের অফিশিয়াল ফেসবুকে লিখেছেন, দুঃখিত। আজ নন্দনে ঠিক পৌঁছেও আপনাদের সঙ্গে সেভাবে দেখা করতে পারলাম কই! কভিড স্বাস্থ্যবিধির কারণে নন্দনে প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু গেটে দায়িত্বপ্রাপ্ত জনৈক মুখার্জি (আমি ওনার নাম জানি, তবে অযথা ওনাকে বিখ্যাত করব না তাই নাম নিলাম না) এই কাজের উপযুক্ত কি না জানি না; কিন্তু অতি অভদ্র তা দেখতেই পেলাম। কী সব নিয়ম উল্লেখ করে, আমাদের কয়েকজনকে নন্দনে ঢুকতে দিলেন না, আর পুরোটাই উনি যাকে বলে পুলিশি রোয়াবেই বোঝালেন।
ঋত্বিক লিখেছেন, ‘অথচ আমাদেরই ছবি চলছে, আমরা দর্শকের সঙ্গে একটু কথাই বলতে গিয়েছিলাম। পরে একাডেমির সামনে ছিলাম, আপনাদের কারো সঙ্গে কথাও হলো। আশা রাখি উনি নিশ্চয়ই একদিন নন্দনের গেটে দাঁড়ানোর মতো ভদ্রতা শিখে নেবেন। ইতিমধ্যে আজ নন্দনে বিনিসুতোয় হাউজফুল ছিল।’
নন্দন হলো কলকাতার, ঢাকার শিল্পকলা একাডেমির মতো সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। নাটক, থিয়েটারের পাশাপাশি সেখানে সিনেমার প্রদর্শনীও হয়ে থাকে। বিনি সুতোয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জয়া আহসান।
এই ছবি সম্পর্কে ঋত্বিক জানিয়েছিলেন অভিব্যক্তি। দুই দিন আগেই লিখেছিলেন, ‘এই ছবি ঘিরে আমাদের অনেকখানি আবেগ। একেকটা কাজের ক্ষেত্রে এমন হয়। ছবিটা দেশ-বিদেশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে, কিছু পুরস্কারও পেয়েছে । FIPRESCI নির্বাচিত ২০১৯ সালের সেরা দশটি ভারতীয় ছবির তালিকায় ছিল। কিন্তু এ সব কিছুর পরেও আমাদের একটাই লক্ষ্য থাকে। যার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে মুখিয়ে থাকি। কবে ছবিটা বড় পর্দায় দর্শকদের সামনে আসবে? বাধা এলো সেখানেই। টানা দেড় বছরের অস্থিরতা, আতঙ্কের মাঝে আমরা বড় পর্দার অভিজ্ঞতা ভুলতে বসেছি। কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রিনে ছবি দেখা নিয়মিত অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।’