পলিথিনের অতিমাত্রায় ব্যবাহারের কারনে দশের উন্নযন ও জীবন ধারা হুমকির মুখে পড়তে পারে । পরিবেশে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। প্রাকৃতিক পরিবেশকে বাধা গ্রস্থ করছে পলিথিন। ২০০০ সালে পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাত বিক্রি বন্ধে আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। সে আইনের তোয়াক্কা না করে চক্র বৃদ্ধি হারে বেড়েই চলছে পলিথিনের ব্যবহার।
এদিকে,সরকারি কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) বলছে, বিশ্বে প্রতি মিনিটে ১০ লাখেরও বেশি পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করা হয়। বছরে এর হিসাব দাঁড়ায় প্রায় পাঁচ লাখ কোটিতে। এগুলো থেকে পুনরায় ব্যবহারের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা এবং সমুদ্রে ফেলা হয় ১০ শতাংশ। এসব পলিব্যাগ একশ বছরেও পচবে না ও মাটির সঙ্গে মিশবে না। যার ক্ষতিকর প্রভাবের শিকার মানুষ ছাড়াও বিপুলসংখ্যক পাখি ও জলজ প্রাণী।
গেল জুন মাসে বেসরকারি সং¯’া এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (এসডো) একটি সমীক্ষা তুলে ধরে। দেশে মহামারি শুরুর পর তারা এটি পরিচালনা করে। যেখানে বলা হয়েছে, রাজধানী ঢাকায় ব্যবহৃত পলিথিন ব্যাগ থেকে উৎপাদিত মোট বর্জ্য প্রায় পাঁচ হাজার ৯৯৬ টন। সারাদেশে এটি প্রায় ৭৮ হাজার ৪৩৩ টন। আর অবৈধ পলিথিন ব্যাগের দৈনিক উৎপাদন ৫০ লাখ।
গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার প্রতিদিন বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর পাঁচ ট্রিলিয়ন প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার হয়, যা প্রতি সেকেন্ডে এক লাখ ৬০ হাজার। মাথাপিছু ব্যবহার ৭০০টির বেশি। প্রতিদিন কেনাকাটায় যে সব পলিথিন ব্যবহার হয় তা পচন ধরতে সময় লাগে ২০০ থেকে ১০০০ হাজার বছর। পলিথিনের অতি ব্যবহারের কারণে ১৯৯৮ সালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা পর্যস্ত হয়ে পড়ে। ২০০২ সালে দেশে আইন করে পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন, বাজারজাত ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়। কিš‘ এখনো পলিথিনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি।