রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ই-অরেঞ্জ অনলাইন শপিং প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ১৩ লক্ষ টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটন করেছে ভ্যাট গোয়েন্দারা। ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়ায় আজ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করা হয়েছে। অভিযানে দেখা যায়, ই-অরেঞ্জ, অনলাইন প্লাটফর্মে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় করে; কিন্তু তাদের প্রাপ্ত কমিশনের উপর আরোপণীয় ভ্যাট যথাযথভাবে জমা প্রদান করে না। প্রতিষ্ঠানটি বিপুল পরিমাণ সরকারি রাজস্ব ফাকি দিয়ে আসছে মর্মে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে গত ৮ জুন ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর উপ-পরিচালক জনাব তানভীর আহমেদ এর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী জনাব সোনিয়া মেহজাবিনের সহযোগিতা করেন এবং তিনি প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাট সংশ্লিষ্ট দলিলাদি উপস্থাপন করেন।এছাড়া প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি করে হিসাব বিবরণী জব্দ করা হয়।এতে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে মোট ২৪৫,৭৫,৫৩,২১৫ টাকার সেবা/পণ্য ক্রয় করে এবং ২৪৯,৬৩,৪৭,৭১০ টাকার সেবা/পণ্য বিক্রয় করে।উক্ত সেবা/পণ্য বিক্রয়ের উপর ই-অরেন্জ ৩৮,৭৯৮,৪৯৫ টাকা কমিশন লাভ করে।প্রাপ্ত কমিশনের উপর ৫% হারে নির্ণীত ভ্যাট এর পরিমাণ ১৯,৩৯,৯২৪.৭৫ টাকা প্রযোজ্য হলেও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ মাত্র ৬,২৩,৭৬৭ টাকা পরিশোধ করেছে। অনুসন্ধানে দেখা যায় অনলাইন শপিং প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করেছে। এতে সরকারের ১৩,১৬,১৫৮ টাকা ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে। বিক্রয় তথ্য গোপন করায় এবং ভ্যাট ফাঁকির সহিত জড়িত হওয়ায় ই- অরেঞ্জ ভ্যাট আইন লংঘন করেছে।অভিযানের সূত্র ধরে আজ ই- অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছে। অভিযানে প্রাপ্ত ই-অরেঞ্জ কর্তৃক পরিহারকৃত ভ্যাট আদায় ও অন্যান্য আইনানুগ পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য মামলার প্রতিবেদন এখতিয়ারাধীন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা উত্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।একইসাথে, প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রম আরো নজরদারি ও তদন্ত করার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।